মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি(১২ আগষ্ট) :: রামুতে সল্প বৃষ্টিতেই সড়কে হাটুঁ বা আরো বেশী পরিমান ঢলের পানিতে সারা বছর দূর্ভোগে থাকে ১০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বিশেষ করে প্রাথমিক স্থরের সহ শতশত শিক্ষার্থী এ কারণে চরম দূর্ভোগে পড়ে এ কারণেই।
ফলে এ সড়কে বসবাসকারী সাধারণ লোকজনের জীবনমানে অশান্তির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠ বন্ধ থাকে বার বার। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষাও দিতে পারে না এ সব ছাত্র-ছাত্রী।
সরেজমিন গিয়ে আরো জানা যায়, উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজার-বড় জামছড়ি সড়কের চাকমাকাটা এলাকাটি দিয়ে চলাচল করে ১০ থেকে ১৫ গ্রামের মানুষ।
বিশেষ করে চাকমার কাটা,নতুন মিয়াজিরপাড়া, নতুনপাড়া, বড়জামছড়ি, ছোটজামছড়ি, মৌলভীরকাটা,হাজিরপাড়া,বালুবাসা,হাইস্কুলপাড়া ও ফুলতলী গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে সারা বছর।
তারা নিত্য প্রয়োজনে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে কচ্ছপিয়ায় অবস্থিত গর্জনিয়া বাজারে।
এছাড়া জেলাÑউপজেলায় নানা প্রয়োজনে এসব লোক নিয়মিত আসা যাওয়া করে এ সড়ক দিয়েই । আর এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুল, নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজ বা ফইজুল উলুম মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করে প্রতিদিন।
বিশেষ করে আশপাশের প্রাথমিক স্থরের শিক্ষার্থী ও কে.জি স্কুলের শিক্ষার্ধীদের একমাত্র সড়কটি সল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। তখন তারা ভোগান্তিতে পড়ে। বছরের পর বছর ধরে বর্ষা মৌসূমের প্রতিমাসে বেশ কয়েকবার করে এ দশা হয়ে থাকে সড়কটির। যতবার এ দশা হয়,ততবারই শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ হয়ে পড়ে। শিক্ষা কার্যক্রমে বাধাঁ আসে।
ইউনিয়নের মৌলভী কাটা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান জানান, তার ছেলে কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুলে পড়ে।
আর এ স্কুলে আসা যাওয়ায় ব্যবহার হয় এ সড়কটি। ১২ আগষ্ট সকালে স্কুল আওয়ারে দেখা গেছে এ সড়কটি দিয়ে তার ছেলের নিজ স্কুলে যেতে ভোগান্তি পড়তে হয়েছে চাকমার কাটার এ এলাকায়। গর্জনিয়্ াবাজারের দক্ষিনের ছোট জামছড়ি খালের পারের এ ভাংগা সড়কটি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। ¯্রােতের তোড়েও ঝুকিঁ নিয়ে পার হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও।
তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইয়াছমিন আক্তার জানান,গতকাল শনিবার তাদের গনিত পরীক্ষা ছিল। এ কারনে যে কোন মতে ঝুকিঁ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলো সে। নচেৎ বাড়ি ফেরৎ যেতো সে । ্্্্্্্্্্্
এ ধরণের পরিস্থিতিতে সে অনেকবার বাড়ি ফেরত গিয়েছিল বিগত দিনে। এভাবে শিক্ষার্থী ইয়াছমিন ও অভিভাবক মান্নানের মতো অনেক অসংখ্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর আকুতি সড়কটি যেন সংস্কার করা অতিদ্রুত। মাটি দিয়ে অন্তত ২/৩ হাত উচুঁ করে বাধঁলেই হয়তো এ ভোগান্তি কমে যাবে।
এ বিষয়ে, ইউপি মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান, দীর্ঘদিনের এ সমস্যাটি ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যান নোমান সাহেব সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন খুবই আন্তরিকভাবে। ইউনিয়নের সমস্যামান অন্যান্য কাজের মধ্যে গুরুত্বানুসারে এ সড়কটির কাজেও হাত দেবেন তিনি। তখন ভোগান্তি থাকরে না।
Posted ৭:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta