প্রেস বিজ্ঞপ্তি(১১ আগষ্ট) :: রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহমেদুল হক চৌধুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার সাড়ে চারমাস পর ওই বছরের ১১ আগষ্ট তিনি ভারতের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
আহমেদুল হক চৌধুরীর বড় ছেলে রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ও বিগত উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার (১১ আগষ্ট) সকালে পারিবারিক ও স্থানীয় মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়ও স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এতে মোনাজাতে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
রামু উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন রাশেদ ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে মরহুম আহমেদুল হক চৌধুরীর প্রতি দলের সর্বস্তুরের নেতাকর্মীরা গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরীর মৃত্যুতে জেলার জাতীয়তাবাদী শক্তির অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর মতো আদর্শিক, দৃঢ় মনোবল ও সৎ রাজনীতিবিদকে রামুবাসী আজীবন স্মরণ করে যাবে।
উল্লেখ্য আহমেদুল হক চৌধুরী (এমএ) ১৯৫১ সালে রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর লামারপাড়ায় খ্যাতিমান চৌধুরী পরিবোরে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরী। আহমেদুল হক চৌধুরী রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, কক্সবাজার সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি, বিএ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস নিয়ে এমএ পাশ করেন।
তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বৃহত্তম চট্টগ্রামের প্রথম রাজবন্দি মরহুম আবদুল মজিদ সিকদারের নাতি। মরহুম আবদুল মজিদ সিকদারের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস রামু চৌমহনীতে এসে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
আহমেদুল হক চৌধুরী সমাজসেবক, রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্ব। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায় (চাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমাজকল্যাণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে কেমেস ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক লি: এ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ৮/৯বছর চাকরি করেছিলেন।
এসময় সমাজসেবার প্রতি ব্রত হয়ে রাউফাবাদ কলোনীতে রাউফাবাদ বহুমূখী সমবায় সমিতি গঠন করে শিক্ষিত যুব সমাজকে উন্নয়নমুখি কাজে সম্পৃক্ত করান। পরে এ চাকরি এস্তেফা দিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
মিষ্টভাষি আহমেদুল হক চৌধুরী রাজনৈতিকভাবে শহীদ জিয়ার আদর্শের জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হলেও দল-মত ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় তিনি রামুর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি পরপর ৩ বার রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বৃহৎ উপাসনালয় সীমা বিহার ও মৈত্রী বিহারের জাদি পাহাড় এলাকায় ১২০ শতক জমি দান করেন তিনি। আলহাজ¦ ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ কয়েকবার তিনি সহ-সভাপতি ও কার্যকরি সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজারকুল মাছুমিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং মৃত্যুর আগপর্যন্ত লামারপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।
Posted ১০:৫২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta