সোয়েব সাঈদ,রামু(৩ জানুয়ারী) :: রামুর কচ্ছপিয়ায় পাহাড় কেটে সাবাড় ও গাড়ি জব্দ করার ঘটনায় বন বিভাগ মামলা করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। পাহাড় কাটায় জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত হলেও প্রভাবশালী হওয়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সাম্প্রতিক সময়ে রামুর কচ্ছপিয়ায় বাঁঘখালী রেঞ্জের ঘিলাতলী বন বিটের আওতাধিন এলাকায় বন বিভাগের একটি বড় পাহাড় কেটে মাটি পাচার শুরু করে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। নির্বিচারে পাহাড়টি কাটার ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও বন বিভাগ শুরু থেকে নিরব ছিলো।
পরে এলাকাবাসী এ নিয়ে স্বোচ্ছার হয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানান। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ ডিসেম্বর রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জের আওতাধিন ঘিলাতলী বন বিটের আওতাধিন ওই এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা পান বন বিভাগ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, বাঁঘখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী ও ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। অভিযান চলাকালে পাহাড় কাটায় জড়িতরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মাটি পাচারে ব্যবহৃত একটি গাড়ি (পাওয়ার টিলার) জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, পাশর্^বর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তর কচ্ছপিয়া এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নুরুল আলম, মৃত আবুল কালামের ছেলে রাসেল ও মৃত আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ওই এলাকার বন বিভাগের পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থানে মাটি পাচার করে আসছিলো।
এখন অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা ও মাটি পাচারের গাড়ি জব্দ করার পরও বন বিভাগের রহস্যজনক নীরবতায় জড়িতরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এনিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বাঁঘখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী ও ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলায় নির্দিষ্ট কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলার আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
Posted ১:২৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta