মাঈনুদ্দিন খালেদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(৩ জুলাই) :: সম্প্রতি সমগ্র দেশে পাহাড় কাটা ও পাহাড় ধসের বিষয় যখন বারবার আলোচনায় আসে তখন রামু উপজেলায় পাহাড় ধসের বিষয়টি ততটা লাইমলাইটে আসে নি। কিন্তু আজকালের মধ্যে উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভূমি দস্যূরা পাহাড় কেটে এ সবের আশংকা বাড়িয়ে দিয়েছিল উপজেলার কচ্ছপিয়ায়। কিন্তু তাতেও সজাগ প্রশাসন প্রতিহত করলো দূর্বৃত্ত্বদের এ অসৎ আচরণ।
উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বড়জাংছড়ি মুরারকাটা এলাকায় তাৎক্ষণিক পাহাড় কাটা বন্ধ করলো রামুর এসিল্যান্ড ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরির্দশক হাবিব। ফলে এ এলাকার বেশ কিছু পরিবার বর্তমানে অবিরাম বষর্ণের এ সময়ে পাহাড় ধসের ঝুঁিক থেকে মুক্তি পেলো কোনভাবে। আর তারা বাচঁলো মানুষ্যসৃষ্ট এ দূর্যোগ থেকে।
স্থানীয়রা জানান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এলাকা কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটা চলছে নীরবে। অনেক স্থানে ধুমও নেমেছে। এ সবের মধ্যে ইউনিয়নের বিএফ ভূমি ও সরকারী খাস জমির পাহাড় কাটা অন্যতম।
তারা আরো জানান,এলাকার খাস খতিয়ানের জমির মধ্যে বড়জাংছড়ি মুরারপাড়া পাহাড়ে মৃৃত ইউছুপের ছেলে নুরুল ইসলাম, সুলতানের ছেলে নুরুল আলম ও তাদের কয়েক জন সহযোগি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধির নের্তৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত্ব রাত-দিন একটি পাহাড় কেটে সাবাড় করছিল।
এ অবস্থায় ঈদের পরের দিন স্থানীয় সচেতন কয়েকজন লোক পুলিশকে অবহিত করলে গর্জনিয়া পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আহসান হাবিবের নের্তৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করে দেন তাৎক্ষণিক। আসামী চক্রের কুপকৌশলে আসামী আটক রা সম্ভব না হলেও অপরাধীরা তটস্থ হয়ে পড়ে এ সময়।
এ ঘটনার দু দিন পর এ দূর্বৃত্তরা আবারো এ পাহাড়টি কাটতে চেষ্টা করলে রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) অর্থাৎ এসিল্যান্ড নিকারুজ্জামান তার অফিসের লোকজন পাঠিয়ে এ পাহাড় কাটা বন্ধ করে দেন কঠোর হস্তে। এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের মামলার প্রক্রিয়াও শুরু করেন পাশাপাশি।
গর্জনিয়া ভূমি অফিসের তহশলিদার আখতারুল ইসলাম সেলিম জানান,তিনি মাসখানেক ধরে অসুস্থ এ কারণে তিনি এলাকার তেমন খোঁজ খবর নিতে পারেন না-কোথায় কী হচ্ছে ! তবুও তিনি অফিসের পিয়ন আমিনকে দিয়ে অনেক কিছু ম্যানটেইন্স করেন।
আর জড় জাংছড়ি মুরারপাড়ার পাহাড় কাটার বিষয়ে তিনি বলেন,জনৈক নুরুল ইসলাম সহ একদল লোক গোপনে পাহাড় কাটছিল শুনে তিনি দ্রত ঝাড়–দার নুরুল আমিনকে পাঠিয়ে নিশ্চিত খবর নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) নিকারুজ্জামান বলেন,পাহাড় কাটা ভয়ানক অপরাধ। আলোচিত অপরাধের অন্যতম এ ঘটনার সাথে কেই জড়িত হলে রেহায় নেই কারও। আর কচ্ছপিয়ার বড়জাংছড়ি মুরার পাড়ার পাহাড় কাটার খবর শুনে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন । এখন এখানে পাহাড় কাটাসহ সব প্রক্রিয়া বন্ধ। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। এদের রেহায় নেই।
Posted ১২:২০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta