এ মৌসুমের শুরুতে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে ৯৯ মিলিয়ন পাউন্ডের দলবদলে ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো যোগ দেন ইতালিয়ান সিরি-এ জায়ান্ট জুভেন্টাসে। তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’দের হয়ে জ্বলে উঠতে রোনালদোর কিছুটা সময় লাগলেও তিনি ঠিকই সেখানে নিজেকে মেলে ধরেছেন। তাকে নিয়ে জুভেন্টাসও স্বরূপে। আর রিয়াল মাদ্রিদ স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় পতিত হয়েছে। সর্বশেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছে ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। গত রোববার বার্সেলোনার মাঠে তারা হেরে এসেছে ২-৫ গোলের বড় ব্যবধানে। এ ব্যর্থতায় চাকরি খুইয়েছেন ইউলেন লোপেতেগি।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে অনেকেই বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্নভাবে। তারা লোপেতেগিকে নয়, বরং বিপর্যয়ের জন্য রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকেই দায়ী করছেন। সাবেক সভাপতি ক্যালদেরন বললেন, সবকিছুর জন্য একমাত্র পেরেজই দায়ী। লোপেতেগিকে বরখাস্ত করার বিষয় নিয়ে তিনি স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা প্রেসিডেন্টের আরেকটি পাগলামি। সে যদি জুনেই সঠিক ব্যক্তি হতে পারে, তবে চার মাস পর, এখন অযোগ্য হতে পারে না। তিনি বিশ্বকাপ শুরুর দুদিন আগে তাকে দলে স্বাক্ষর করিয়ে আমাদের জাতীয় দলের ক্ষতি করেছেন, এখন তাকে ছাঁটাই করলেন। তাই এখানেই সমস্যা, আমি মনে করি না, সে (লোপেতেগি) একা এখানে দায়ী। মূল সমস্যা হলো জুনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলবদল এবং সেটা ছিল ঐতিহাসিক ভুল, এখন যার মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের।’
রোনালদোও রিয়াল ছাড়ার পেছনে দায়ী করলেন পেরেজকে। একদিন আগে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনকে পর্তুগিজ সুপারস্টার বলেছেন, পেরেজের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এবং ক্লাবটিতে তার মূল্যায়ন কমে যাচ্ছিল বলেই তিনি বিদায় নিয়েছেন। তার কথায়, ‘‘ক্লাবের ভেতরে আমি অনুভব করলাম, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের দিক থেকে, তারা শুরুর দিকে আমাকে যেভাবে দেখত, সেভাবে আর দেখছিল না। শুরুর চার-পাঁচ বছর ক্লাবটিতে আমি ছিলাম ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’। কিন্তু শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি বদলে যায়, বদলে যান পেরেজও। পেরেজের চোখ দেখেই আমি বুঝে যাই, হূদয় থেকে কোনো কিছু বলতেন না তিনি। তাই আমি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’
গুজব রয়েছে, বেশি বেতনের আশায় রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো। তবে পর্তুগাল অধিনায়ক নিশ্চিত করেন, শুধু টাকার জন্যই তিনি রিয়াল ছাড়েননি। তার কথায়, ‘শুধু টাকার জন্যই সিদ্ধান্তটি নিলে আমি বরং চীনে যেতাম, সেখানে এখানের (জুভেন্টাস) চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি টাকা পেতাম।
’ দ্য সান