বিশেষ রিপোর্ট(২১ ডিসেম্বর) :: মিয়ানমারের রাখাইন সেনাদের দ্ধারা নির্যাতিত বা ধর্ষিত হয়ে প্রতিদিন কোন না কোন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। এতে অনুপ্রবেশকারী নারী রোহিঙ্গারা বয়ে আনছে মরণঘাতি এইচআইভি এইডসের ভাইরাস। জীবানু বহনকারি অনেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ঢুকে পড়ায় স্থানীয়রা রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
ফলে বাংলাদেশীদের মাঝে এই নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তাই এইড্স প্রতিরোধে আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারী ও জাতিসংঘের হিসেবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা। বেসরকারী হিসেবে এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশী। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী অনেক রোহিঙ্গা নারী-বহন করে এনেছে মরণঘাতি এইচআইভি ভাইরাস। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় শতাধীক নারী-পুরুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এইচআইভি ভাইরাস।
তথ্যানুসন্দানে প্রকাশ এইডসের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে চিহ্নিত মিয়ানমার। সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুন বেশি ঝুঁকি রয়েছে এইড্সের। তাই সেখান থেকে থেকে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর মাঝে মরণব্যাধি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল আরএমও শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান,রোহিঙ্গা আগমনের হার অনুযায়ী এ সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এইচআইভি জীবাণু বহনকারী এসব রোহিঙ্গাদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিদেশী এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান,অনেক রোহিঙ্গা যুবতী ইতোমধ্যে পর্যটন শহরে কক্সবাজারে অবস্থান করছে। তাদের অনেকে যৌনকর্মী। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা। এর প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে পর্যটন এলাকায় মনে করছেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুস সালাম জানান,উখিয়ায় বর্তমানে একশ‘র বেশী রোহিঙ্গার কাছে এইচআইভিএইডস জীবানু পাওয়া গেছে। যে সব রোহিঙ্গার এইডস ধরা পডছে তা এখানে এসে আক্রান্ত হয়নি,তারা মিয়ানমার থেকে বহন করে আনছে এ জীবানু। আক্রান্তদের বাছাই করে নিয়ন্ত্রন করা না গেলে এটি স্থানীয় ভাবে ভয়াবাহ আকার ধারণ করতে পারে জানালেন এ চিকিৎসক।
Posted ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta