শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ফের সরগরম কূটনীতিকপাড়া

রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭
383 ভিউ
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ফের সরগরম কূটনীতিকপাড়া

কক্সবাংলা ডটকম(১২ নভেম্বর) :: আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাকার কূটনীতিকপাড়া। শুরু হয়েছে বিদেশি কূটনৈতিকদের দৌঁড়ঝাঁপ। চলছে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকের পর এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসতে শুরু করেছে কূটনৈতিকরা।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছেন বিদেশি কূটনৈতিকরা। এসব বৈঠক থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার কথায় বলা হচ্ছে।
.
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলেছে কূটনৈতিক মহলে। সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে তৎপর সবাই। গত ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন যেন আর না হয় সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করছেন।

বিএনপির সাথে যেমন আলোচনা হচ্ছে; পর্যায়ক্রমে সব রাজনৈতিক দলের সাথেই আলোচনা হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনতে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলেও সূত্রে জানা গেছে।

গত সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যাননের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ম্যাডামের। মূলত থমাস এ শ্যানন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। এরপর বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন।

চলমান রাজনীতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তবে এসব নিয়ে এখন কিছু বলা যাবে না।’বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করেন।

এছাড়া ওইদিন (সোমবার) সন্ধ্যায় কানাডার সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে বসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকেও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখার মনোভাব জানায় কানাডা।
এরপর গত বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মালয়েশীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা আগামীতে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে যেন ক্ষমতার পরিবর্তন হয় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

এদিকে গত রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন সুষমা স্বরাজ।

বৈঠকে আগামীতে সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেখার মনোভাব ব্যক্ত করে ভারত।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও এমন দৌঁড়ঝাঁপ করেছিল কূটনৈতিকরা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের কূটনৈতিকদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে। তাছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার না হলে আগামীতে ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে পারে দলের এমন আশঙ্কার বিষয়টিও কূটনৈতিকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।

কূটনীতিবিদরা বলছেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের সাথে যে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক স্বাভাবিক ঘটনা। বর্তমান দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কী এ বিষয়টি জানতেই মূলত তারা রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা শুরু করেছে। তবে তাদের উচিত সব দলের সাথে আলোচনা করা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা স্বাভাবিক ঘটনা। পৃথিবীর সব দেশেই এমন প্রচলন আছে। তারা হয়তো জানতে চাচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতির কী অবস্থা। তাদের তো রিপোর্ট লিখতে হয়। সেটা আবার তাদের দেশে পাঠাতে হয়। তারা যে দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে সেই দেশের কাছে তাদেরতো জবাবদিহিতার বিষয় আছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারি দল, বিরোধী দল বা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে তারা একটা ধারণা করে দেশের কি অবস্থা। দেশের রাজনীতির কী অবস্থা। কিংবা উভয় রাজনৈতিক দল কি ভাবছে?

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। তাইতো সব রাজনৈতিক দলের মনোভাব তারা জনতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে সেটা তারা সেই অর্থে বলতে পারে না। যে কোনো বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে। মূলত তারা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কী অবস্থা সেটা বোঝার জন্যই বৈঠক করছে। তবে সবার সাথে আলোচনা করা একটা ভালো দিক। আলোচনা করলে অনেক জটিল বিষয়েরও সমাধান বের হয়।

383 ভিউ

Posted ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com