কক্সবাংলা ডটকম(২৯ নভেম্বর) :: কালোটাকায় (অপ্রদর্শিত আয়) সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ আর থাকছে না। টাকার উৎসের ব্যাপারটিকে সরকার শিথিলভাবে দেখে বলে এখনো যেকোনো (প্রদর্শিত ও অপ্রদর্শিত আয়) অর্থেই সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। কিন্তু ভবিষ্যতে কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে আগে অর্থের উৎস জানাতে হবে।
সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময়সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিল ও সম্পদ কমিটির সভায় এসব মত উঠে এসেছে। বৈঠক সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রে যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কেউ অবৈধভাবে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে না।’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও কমানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠক সূত্র জানায়, সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ সরকারকে প্রতিবছর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তা এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সব কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতায় আনার।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—এমন একজন সচিব গত বুধবার বলেন, সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে প্রতিবছর সরকারের যত টাকা আসে, বাস্তবে তত টাকা সরকারের লাগে না। কিন্তু ঘোষণা দিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধও করা যাবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হয়েছে।
উপায়টি হচ্ছে, সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সঙ্গে সঞ্চয় অধিদপ্তরের একটি সংযোগ তৈরি করা হবে। আবার ৫০ হাজার টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলেই বলা হবে, চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে নগদ টাকা দিয়ে এবং একজন ভিন্ন ভিন্ন নামে সঞ্চয়পত্র কিনছে। অথচ সঞ্চয় অধিদপ্তরের কাছে এ-বিষয়ক কোনো পরিসংখ্যান নেই।
বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ ধরার ব্যাপারে মত এসেছে বলে জানা গেছে। বাম্পার ফলন হবে ধরে নিয়ে অনেকেই বলেছেন, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। যদিও কেউ কেউ আশঙ্কা করেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি না-ও হতে পারে।
Posted ৭:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta