কক্সবাংলা ডটকম(১৮ নভেম্বর) :: সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাক্টিস নিয়ে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের টাস্কফোর্স কমিটি। ওই কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে অফিস সময়ে সরকারি হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। কোনও কারণে যদি কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় থাকে তাহলে সেটি টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের অবগত করতে হবে।এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল-এর সভাপতিত্বে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দেশের হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ও ক্লিনিকগুলোকে লাইসেন্স নিবন্ধন নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
সভায় টাস্কফোর্স কর্তৃক সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন ও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে গত ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব শিব্বির ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, যুগ্মসচিব সালমা তানজিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরিভুক্ত করে দেওয়া হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় কিছুদিনের মধ্যেই একটি কমিটি গঠন করবে। আর এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান ক্লিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে করার ব্যাপারে মতামত দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পুরোপুরি সহায়তা প্রত্যাশা করে অনুরোধ জানান। পরে তাদের পক্ষ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় বেসরকারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
Posted ৬:২১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta