কক্সবাংলা ডটকম(৩ নভম্বের) :: দুরন্ত জয় বাংলাদেশের। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে নিল বাংলাদেশ। ৮ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে ৮ বারই হারতে হয়েছিল৷ ২ বার জয়ের খুব কাছে এসেও নিজেদের ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের৷ অবশেষে ৯ বারের প্রচেষ্টায় টি-২০ ক্রিকেটে প্রথমবার ভারতকে পরাজিত করল টাইগাররা৷ এই প্রথম শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে কোনও টি ২০ ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তোলে ভারত৷ জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান তুলে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা৷
২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে ২ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের৷ ১ রান করলেই ম্যাচ টাই হতে পারত৷ বাংলাদেশ শেষ তিন বলে তিনটি উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে৷ ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে জয়ের জন্য ৫ রান দরকার ছিল ভারতের৷ দীনেশ কার্তিক শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন৷
গত দু’বারের এমন ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নিজেদের মেলে ধরে যথাযথ৷ শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২১ রান তারা ৩ বল বাকি থাকতেই তুলে নেয়৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয়ের জন্য মুশফিকুরকে যেমন কৃতিত্ব দিতে হয়, ঠিক তেমনই অস্বীকার করা যায় না ক্রুণাল পান্ডিয়ার ভুলকেও৷ ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে চাহালকে গ্যালারিতে ফেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্রুণালের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মুশফিকুর৷ পান্ডিয়া শুধু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন, এমন নয়৷ উপরন্তু সেই বলে চার রান উপহার দেন৷
পর পর দু’বার জীবন দান পাওয়া মুশফিকুরই ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন৷ ১৯ তম ওভারের শেষ চারটি বলে খলিল আহমেদকে চার বার বাউন্ডারিতে পাঠান মুশফিকুর৷ স্বাভাবিকভাবেই তিনি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন৷
এছাড়া মহম্মদ নঈম ২৬, সৌম্য সরকার ৩৯ ও মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত ১৫ রানের যোগদান রাখেন৷ লিটন দাস আউট হন ৭ রান করে৷ তার আগে ভারতের হয়ে সর্বাধিক ৪১ রান করেন শিখর ধাওয়ান৷
Posted ১১:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta