কক্সবাংলা ডটকম(১৩ এপ্রিল) :: করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কভিড-১৯ আতঙ্কের কারণে সাধারণ ঠাণ্ডা, কাশি বা জ্বর হলেই সবাই ভয় পাচ্ছেন। এ কারণে আশপাশে কেউ হাঁচি-কাশি দিলেই সবাই তাকে আড়চোখে দেখছেন। যেহেতু এখন ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাই সর্দি-কাশির মতো সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক।
সাধারণ ঠাণ্ডার সঙ্গে নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গের অনেকটা মিল থাকায় এমন আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে সাধারণ ঠাণ্ডার বেশকিছু পার্থক্যও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, সাধারণ ঠাণ্ডার লক্ষণগুলো দুই থেকে তিনদিন বেশি থাকে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
এছাড়া সাধারণ ঠাণ্ডায় সর্দি, হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা, নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া, চোখ ছলছলে থাকা এবং খুব কম ক্ষেত্রে জ্বর হয়ে থাকে। ঠাণ্ডার এ লক্ষণগুলোর মধ্যে সর্দি ও কাশি সর্বোচ্চ ১০-১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে। তাছাড়া বাকি লক্ষণগুলো আগেই সেরে যায়।
অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাসের লক্ষণের বিষয়ে সিডিসি বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের অসুস্থতা হালকা লক্ষণ থেকে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি করে। কভিড-১৯-এর লক্ষণগুলো সাধারণত ২-১৪ দিন পর প্রকাশ পায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে থাকে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কিত অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হালকা লক্ষণগুলো দেখা গেছে।
সমীক্ষায় গলাব্যাথা ও সর্দির মতো কম সাধারণ লক্ষণগুলো ৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে এবং ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা গেছে ১-২ শতাংশ রোগীর।
হেলথ ডটকম
Posted ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta