কক্সবাংলা ডটকম(১৪ জুলাই) :: মাদক পাচার করতে ব্যবহার করা হচ্ছিল সাবমেরিন। অবিশ্বাস্যভাবে সেটি আটক করে এর ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার কোকেন।
জি নিউজ জানায়, শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সীমানায়।
কোস্ট গার্ডের নজর এড়িয়ে সাবমেরিনে করে পাচার করা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ কোকেন। এরপরেও রক্ষা পায়নি মাদক পাচারকারীরা। কোস্ট গার্ডের সদস্যরা স্পিডবোটে ধাওয়া দিয়ে ওই সাবমেরিন আটক করে।
কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর উপকূলের প্রায় ১০০ মাইল দূরের প্রশান্ত মহাসাগরের এ অংশে মাদক পাচারকারীদের রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালায় মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী।
১৮ জুন এই এলাকা দিয়ে সাবমেরিনে করে মাদক পাচার হতে পারে এমন তথ্য পেয়ে হেলিকপ্টার ও ছোট স্পিডবোটে করে নজরদারি চালাতে থাকে মার্কিন বাহিনী।
তিমি মাছের মতো দেখতে সাবমেরিন চোখে পড়তেই তৎক্ষণাৎ সাবমেরিনটিকে ধাওয়া করেন উপকূলরক্ষীরা। একপর্যায়ে সাবমেরিনের কাছে পৌঁছেই ফিল্মি কায়দায় লাফ দিয়ে এটির মাথার ওপর চড়ে বসে উপকূলরক্ষীরা। তারপর হ্যাচ খুলে পাকড়াও করা হয় পাচারকারীদের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি সান জানায়, গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়ে উপকূলরক্ষীদের ক্যামেরায়। এই দুর্ধর্ষ অভিযানে সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কোস্ট গার্ডের দাবি, ৪০ ফুট লম্বা সাবমেরিনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৭১১ কেজি কোকেন। মাদকের বাজারে যার মূল্য প্রায় ২৩২ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। একসঙ্গে এত পরিমাণ কোকেন দেখে কোস্ট গার্ড কর্মীরাও অবাক হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে সাবমেরিনে মাদক পাচার নতুন কিছু না। যুক্তরাষ্ট্রের কোকেনের ১১ শতাংশ পাচার হয় সাবমেরিনে। মাদক পাচারের উদ্দেশেই বিশেষভাবে এই সাবমেরিনগুলি তৈরি করে পাচারকারীরা।
দক্ষিণ আমেরিকার গভীর অরণ্যে গড়ে ওঠা কারখানায় বানানো হয় এই সাবমেরিনগুলি। উপকূলরক্ষীদের ভাষায় এগুলোকে নার্কো-সাব বলা হয়। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সামর্থ্য নেই এই সাবমেরিনগুলোর।
The U.S. Coast Guard told that during this mission they had found 17,000 pounds of cocaine inside the submarine, which accounts for the equivalent of $232 million if sold.
Posted ২:০১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta