কক্সবাংলা ডটকম(২৮ জুন) :: ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য মাল্টিরোল হেলিকপ্টার সংগ্রহের একটি চুক্তি চলতি বছরের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হেলিকপ্টারগুলো হাতে পেলে ভারত মহাসাগরের উপর প্রভাব বিস্তারে ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
হেলিকপ্টাগুলো সংগ্রহের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো হবে পুরোপুরি সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধে (এএসডব্লিউ) সক্ষম। সাগরের উপরিভাগেও যুদ্ধ করতে পারবে এগুলো। জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়তে পারবে।
এএসডব্লিউ সক্ষম হেলিপক্টারগুলোতে সি-ডাংকিং সেন্সর থাকায় এগুলো পানির নিচে থাকা সাবমেরিন সনাক্ত করতে পারবে কিন্তু সাবমেরিন থেকে এগুলোকে সনাক্ত করা যাবে না।
ভারত মহাসাগরে চীনা সাবমেরিনের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের হেলিকপ্টার কেনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত। সাবমেরিনের প্রযুক্তি অনেক উন্নত হওয়ায় সাগরতলে এগুলোকে অনুসরণ করা দু:সাধ্য হয়ে উঠছে। চীনের হাতে দূর পাল্লার ৯টি পারমাণবিক সাবমেরিনসহ মোট ৬১টি সাবমেরিন রয়েছে।
পাকিস্তানকে আটটি সাবমেরিন সরবরাহের ব্যাপারে গত বছর চুক্তি করে চীন। প্রথম চারটি চীনে তৈরি হবে। বাকিগুলো তৈরি হবে পাকিস্তানে। সাগর তলায় একটি সাবমেরিন ছয়-সাতটি যুদ্ধ জাহাজকে অনায়াসে ঘায়েল করতে পারে এবং আতংক সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য জাহাজের গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারে।
তাই ভারত তার প্রয়োজন পূরণের জন্য লকহিড মার্টিনের তৈরি এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টার বাছাই করেছে। ২.৬ বিলিয়ন ডলারে এ ধরনের ২৪টি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে।
এসব হেলিকপ্টার নৌ বাহিনীর পি-৮১ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটের সক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। ভারতীয় নৌবাহিনীতে এ ধরনের আটটি এয়ারক্রাফট রয়েছে এবং আরো চারটি কেনার অর্ডার দেয়া হয়েছে। এসব এয়ারক্রাফট দ্রুত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর অনুসন্ধান চালাবে। এরপর জাহাজের ডেকে অবস্থানরত হেলিকপ্টার গিয়ে টার্গেটে আঘাত হানবে।
গত এপিলে যুক্তরাষ্ট্র এসব হেলিকপ্টার ভারতের কাছে বিক্রি অনুমোদন করে। গত পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা তৃতীয় ধরনের হেলিকপ্টার হবে এটা। চলতি বছরের গোড়ার গিকে বোয়িংয়ের তৈরি চারটি চিনুক হেভি লিফট হেলিকপ্টার ভারতে এসে পৌছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২২টি এপাচি এটাক হেলিকপ্টার ভারতীয় বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে।
Posted ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta