কক্সবাংলা ডটকম(২৮ অক্টোবর) :: দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের ‘চাষ’ এবং তাকে ঝড়ের গতিতে বাড়তে দিয়ে মানবতাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়ায় সিরিয়ার থেকে তিনগুণ এগিয়ে আছে পাকিস্তান। জানাল একটি রিপোর্ট।
রিপোর্টটির শিরোনাম “হিউম্যানিটি অ্যাট রিস্ক- গ্লোবাল টেরর থ্রেট ইনডিক্যান্ট (জিটিটিআই)”, যা প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্র্যাটেজিক ফোরসাইট গ্রুপ। এই জিটিটিআই অনুযায়ী, আফগানিস্তানের তালিবান এবং লস্কর-ই-তইবা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হুমকি।
এছাড়া, পাকিস্তান তালিকার শীর্ষে রয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সর্বোচ্চ ঘাঁটির স্থান হিসেবে। ” আমরা যদি ভয়ঙ্করতম জঙ্গি সংগঠনগুলোর দিকে তাকাই তথ্য ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে, তাহলে দেখতে পাব পাকিস্তান এদের প্রায় সকলের আঁতুড়ঘর। তাছাড়া, আরও কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, যাদের ঘাঁটি আফগানিস্তানে।
যে সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান বিভিন্নভাবে সাহায্য করে”, জানিয়েছে ওই রিপোর্টটি। 80 পাতার ওই রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে আগামী দশকে এই বিশ্ব নিরাপত্তার দিক থেকে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, সেটিকে বিষয় করে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করার বিভিন্ন দিকগুলি নিয়েও ছানবিন করা হয়েছে।
“বিভিন্ন ধরনের উগ্রপন্থার ক্রমাগত বৃদ্ধি, মানবঘাতী অস্ত্রের অপব্যবহার এবং অর্থনৈতিক ভাঙনের ফলে মানবসভ্যতার অগ্রগতির ত্বরান্বিত হওয়াতেই যে কেবল সমস্যা তা নয়, এই কারণে 2030 সাল অবধি মানবসভ্যতা বিবিধ সংকটের মুখে পড়বে। এই প্রত্যেকটি বিষয়ই কোনও না কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত”, বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এমন 200’টি সংগঠন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। গত পাঁচ বছরে এই সংগঠনগুলির মধ্যে আইএসআইএস সবথেকে বেশি মিডিয়া আকর্ষণ লাভ করেছে। কিন্তু তাদের উত্থান ও পতনের মধ্যেও আল-কায়দা নিজেদের জায়গাটা ধরে রেখেছে সুচারুভাবে।
2011 সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরেও তাদের সংগঠন খুব বেশি অন্ধকারের সম্মুখীন যে হয়নি, তা রিপোর্টেই প্রকাশ। এখন উঠে এসেছে লাদেনের পুত্র হামজা বিন ওসামা লাদেন। যাকে সন্ত্রাসবাদের দুনিয়ার ‘নতুন রাজপুত্র’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
Posted ১০:২২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta