কক্সবাংলা ডটকম :: সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে আরও বেশি লাভবান হতে চান এরদোগান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছিল আঙ্কারার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকে পাল্টে যায় প্রেক্ষাপট।
সেখানে এরদোগান বলেছিলেন, আমাদের আগের সব বৈঠক ছিল ওয়ার্মআপ রাউন্ডের মতো। এ মুহূর্তে আমরা একটি নতুন সম্পর্ক শুরু করছি।
এর মানে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে চায় তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তনে এমন ধারণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমাদের সঙ্গে এরদোগানের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার নেপথ্যের কারণ খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই পুলিৎজার জয়ী সাংবাদিক শেমুর হার্স নিজের সাবস্টাক অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার একটি লেখা পোস্ট করেন।
তিনি লেখেন- বাইডেন এরদোগানকে আশ্বস্ত করেছেন যে সুইডেনকে ন্যাটোতে যুক্ত হতে দিলে তুরস্কের জন্য আইএম থেকে ১১ থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। এরপরই লিথুনিয়ায় ন্যাটো সম্মেলনের পূর্বে সুইডেনকে সামরিক জোটটিতে প্রবেশের অনুমোদন দিতে রাজি হন এরদোগান।
তিনি বলেন, গোপন এক সূত্রের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। তুরস্ককে রাজি করাতে ১১ বিলিয়ন ডলারের বিশাল অর্থ সহায়তার লোভ দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই বিশাল অর্থ সুবিধার প্রস্তাব পেয়েই সুইডেনকে ন্যাটোতে মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বহু আলোচিত এই সাংবাদিক।
লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে গত সোমবার তুর্কি ও সুইডিশ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এরদোগানের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের তথ্য জানান।
ন্যাটোতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রেও এরদোগান পশ্চিমা নেতাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ইউক্রেনে আক্রমণের জবাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। সে সময় পুতিনের পাশে দাঁড়ায় এরদোগান। এক বছর পর হঠাৎ এ অবস্থান পরিবর্তন করেন তিনি।
Posted ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta