কক্সবাংলা ডটকম(৩ ডিসেম্বর) :: দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা পোহাতে হয় না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে গবেষকরা বলছেন, কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে দাম্পত্য জীবন হতে পারে সহজ। সমস্যা কাটিয়ে যে কেউ হতে পারেন সুখী দম্পতি।
আস্থা রাখা :
বিশ্বাস হচ্ছে সুখী দাম্পত্যের প্রধান শর্ত। পরষ্পরের প্রতি আস্থাই দুজন মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসে।
সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন :
স্বামী বা স্ত্রী যেই কথা বলুক না কেন আরেকজনের উচিত তা মনোযোগ সহকারে শোনা। পারষ্পারিক শ্রদ্ধা সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে সাহায্য করে। যদি আপনি অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আর সঙ্গী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চায়, তাহলে তাকে আপনার ব্যস্ততার কথা জানান। মনে রাখবেন, আপনার সঙ্গী যখন আপনার সঙ্গে কথা বলবে তার কথার গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাহলে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে।
একসঙ্গে সময় কাটান :
কিছু জিনিস দুজন একসঙ্গে করতে পারেন। তাহলে নিজেদের জন্য আলাদা কিছুটা সময় দেওয়া হবে। যেমন- যখনই সময় পান দুজনে হাঁটতে বের হতে পারেন অথবা ব্যয়াম করতে পারেন। একসঙ্গে টিভিতে কোন কিছু দেখা অথবা সিনেমা দেখতে পারেন। সারাদিনের পর কিছুটা সময় যদি নিজেরা একসঙ্গে কাটান তাহলে পারষ্পারিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন :
কোন পরিস্থিতি কি করবেন আর কি করবেন না তা আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন। যদি কোন কারণে আপনার মেজাজ খারাপ থাকে তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে কম কথা বলুন। তাকে জানান এই মুহূর্তে আপনি ভাল অনুভব করছেন না।একইভাবে আপনার সঙ্গীর দিকে খেয়াল করুন। তারও হয়তো কোন কিছু নিয়ে মুড ভাল নাও থাকতে পারে। এসময় একান্ত কিছু সময় কাটানোর সুযোগ দিন পরষ্পরকে।
সঙ্গীর প্রতি নমনীয় হউন :
সঙ্গীর সঙ্গে নমনীয় থাকার চেষ্টা করুন। সরি অথবা ধন্যবাদ এই শব্দগুলো তার জন্যও ব্যবহার করুন। একজন অপরিচিত মানুষের সঙ্গে যদি আপনি ভদ্র বা নমনীয় আচরন করতে পারেন তাহলে সঙ্গীর সঙ্গে নয় কেন? বরং যে কারো চাইতে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তুলনা করা ঠিক নয় :
বিয়ে কোন প্রতিযোগিতা নয় যে আপনি আপনার সঙ্গীকে নাম্বার দিয়ে বিচার করবেন। কার স্বামী বা স্ত্রী কতটা ভাল, কি কি করে -এভাবে তুলনা করলে আপনার সঙ্গীর মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
হাসিখুশি থাকুন :
স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে খুশি দেখতে চান। একারণে একজন হাসলে আপনিও হাসি দিয়ে তার প্রত্যুত্তর দিন। হাসির এক বিরাট শক্তি আছে জীবনকে সুখী করে তোলার।
পরষ্পরের গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন :
স্বামী -স্ত্রী হলেই যে তাদের নিজেদের কোন গোপনীয়তা থাকবে না – এটা ঠিক নয়। প্রত্যেক মানুষেরই একান্ত কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকতে পারে। তার মানে এটা নয় ,বিষয়টি নিয়ে সঙ্গীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠতে হবে। সুখী দাম্পত্যের অন্যতম শর্তই হচ্ছে খোলাখুলি আলাপ এবং সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। একারণে কোন বিষয়ে যদি আপনার জানার থাকে তাহলে অবশ্যই খোলাখুলিভাবে আপনার সঙ্গীর কাছে জানতে চান।
Posted ৫:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta