কক্সবাংলা ডটকম(২১ মার্চ) :: আচমকা পদত্যাগ করলেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও৷ তাঁর পদত্যাগে আলোড়িত আন্তর্জাতিক মহল৷ কী কারণে তিনি পদ ছাড়লেন সেই বিষয় পরিষ্কার নয়৷ আশঙ্কা ফের সেনা শাসনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে এই দেশ৷ সেই সঙ্গে লোবেলজয়ী নেত্রী তথা সরকারের বিশেষ প্রধান আউং সান সু কি-কে ফের গৃহবন্দি করা হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে৷
২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন থিন কিয়াও। আলোচিত ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে কয়েক দশকের সেনা শাসনের সমাপ্তি হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, সু কি-র ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও৷ আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁর স্থানে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে আসবেন৷
মিয়ানমারের প্রচলিত আইন অনুসারে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে সরকারকে। ততদিন পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইন্ত সুই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
গত বছর থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচার ও গণহত্যার অভিযোগে বারবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে মায়ানমার৷ দেশটির রাখাইন প্রদেশ থেকে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন৷
ঘটনার সূত্রপাত মায়ানমার সেনার চৌকিতে হামলা দিয়ে৷ সরকারের অভিযোগ, রোহিঙ্গা জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলা জড়িত৷ তারপরেই সেনা অভিযান শুরু হয়৷ আর এই অভিযান ঘিরেই বিতর্ক দানা বেধেছে৷ গণহত্যায় মদত দিচ্ছে মায়ানমার সরকার এমনই দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷
রাষ্ট্রসংঘে বারবার সমালোচিত হয়েছে মায়ানমার সরকার৷ সু কি-র মতো নোবেল জয়ী ব্যক্তিত্ব বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ৷ এদিকে বিশ্বজোড়া সমালোচনার মুখেও সু কি দীর্ঘ সময় নীরব থাকায় তাঁর অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়৷ ধারণা করা হয় সেনা শাসনের ঘেরাটোপেই আছেন তিনি৷ পরে তিনি সেনা অভিযানকে সমর্থন করায় বিষয়টি আরও জমাট হয়৷
এমনই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করে মায়ানমারের উপর৷ কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর ফের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় সু কি সরকার৷ তারই মাঝে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে৷ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে টানা সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে সু কি-র দল৷ তবে সেখানকার পার্লামেন্টে বড় অংশ সেনা প্রশাসকের দখলে৷
Posted ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta