বিশেষ প্রতিবেদক(৬ ডিসেম্বর) :: সেন্টমার্টিন উপকূলের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে ফিশিং বোটসহ আটক ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমায় শুন্য রেখায় কোস্ট গার্ডের (সিজিএফ) তাজউদ্দিন নামে জাহাজে বাংলাদেশি জেলেদের হস্তান্তর করে মিয়ানমার।
এ সময় সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৩ জন ভোলার, ২ জন চট্টগ্রামের, একজন ঝালকাঠি ও একজন মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসী। ফেরত আসা জেলেরা হলেন ভোলা জেলার সদরের চুন্নাবাদ এলাকার মো. মিলনের ছেলে জাকির হোসাইন (৪৪), একই জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নোরাবাদ এলাকার আব্দুল লতিফ ব্যাপারির ছেলে আবুল কালাম (৫৬), গোলদার হাট এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে কামাল সওদাগর (৪৯), উত্তর মাদ্রাজ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৯), নীলকমল এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে মোতাহার (৫৫), একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোছাইন (২৭), মৃত নজির আহমদের ছেলে মোঃ ফারুক (৪৩), আব্দুল বারেক চৌকিদারের ছেলে মোঃ ছলিম (৪০), চরফ্যাশন সদরের নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মোঃ জসিম (৫১), চরফ্যাশন পৌর এলাকার আবি আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম (৫৭), একই এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে মোঃ নেছার (৪৬), দৌলতখান উপজেলার কলাখোপা এলাকার মোঃ আলমগীরের ছেলে মোঃ আলামীন (১৯), চরখলিফা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (২৯), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ শাহ আলম (৬১) , একই উপজেলার শোভনদন্দী এলাকার মৃত সোলায়মানের ছেলে মো. জসিম (৩৩), মুন্সীগঞ্জের টঙ্গী বাড়ি উপজেলার জাহের আলীর ছেলে আবু সায়েদ (৩৬) ও ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নুরুজ্জামান (৪৬)।
কোস্ট গার্ড জানায়, মাসুদ ফিস প্রসেসিং অ্যান্ড আইসি কমপ্লেক্স লিমিটেড বাংলাদেশের আশরাফ হোসেন মাসুদের মালিকানাধীন ওই ফিশিং ট্রলারটি গত ২৯ নভেম্বর মাছ ধরার উদ্দেশে চট্টগ্রাম চাক্তাই হতে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে। গত ৩০ নভেম্বর ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। চারদিন সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে ফিশিং বোটটি মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়লে সে দেশের নৌবাহিনী বোটসহ জেলেদের আটক করে। পরে এ খবরে সিট্যুয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কতৃপক্ষ জেলেদের প্রত্যাবর্তন ও হস্তান্তরের বিষয়ে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে। তারই সূত্র ধরেই শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সেন্টমার্টিনের জলসীমার শূন্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয় বাংলদেশি জেলেদের।
টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় মিয়ানমার থেকে ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Posted ১:১২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta