কক্সবাংলা ডটকম(২২ জুন) :: সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ল আরও এক মুসলিম রাষ্ট্র কাতারের৷ এবার দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী শেখ আব্দুর রহমান আলে সানি জানালেন, ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সৌদি জোট যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে আমরা তার বিরোধী। সেখানে সংঘর্ষ নয়, সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে আলোচনা। ইয়েমেনি জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা চাইছে কাতার।
বিবিসি, আল জাজিরা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, কাতারের অবস্থানের চরম প্রতিক্রিয়া দিতে চলেছে সৌদি আরব ও তাদের মিত্র দেশগুলি৷ ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ ইস্যুতে যেভাবে কাতার সরকার সরাসরি সৌদি আরবের সমালোচনা করল তাতে দুই রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে চলেছে৷ আগামী ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
এমনিতেই রাশিয়া থেকে যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি ঘিরে আরব বাদশা সলমন আজিজের হুমকি- সেনা অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে৷ ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন ছড়িয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে লেখে সেই চিঠি প্রকাশ করে দিয়েছে ফরাসি সংবাদ মাধ্যম৷ তবে অবস্থানে অনড় কাতার৷
বিরোধিতার জেরে আগেই কাতারের সীমান্ত অবরোধ করেছে আরব জোটের বিভিন্ন দেশ৷ দুনিয়ার সর্বাধিক মাথাপিছু আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত কাতারে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট৷
কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনওভাবেইে ইয়েমেনের উপর আরব জোট সেনার হামলা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না৷ সেখানে লাগাতার সংঘর্ষে নিরীহদের মৃত্যু হচ্ছে৷ সেখানে অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধ করা দরকার৷
২০১৫ সালে ইয়েমেনের নির্বাচিত সরকারের প্রধান মনসুর আল হাদিকে উৎখাত করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি৷ তারপরেই আক্রমণ শুরু করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মিশরীয় সেনা৷ লাগাতার বোমা বর্ষণ করেও ইয়েমেনের রাজধানী সানা শহর দখল করতে পারেনি সেই জোট৷
তবে বিখ্যাত এডেন বন্দরটি হুথিদের হাত থেকে পুনরায় জোট সেনা ছিনিয়ে নিয়েছে৷ সেখান থেকেই সরকার পরিচালনা করেন আরবপন্থী সুন্নি মতাবলম্বী মনসুর হাদি৷ আর হুথিদের সমর্থন করছে শিয়াপন্থী ইরান৷ এর জেরে মুসলিম বিশ্ব আড়াআড়ি বিভক্ত৷
Posted ৩:১৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta