এম. এ আজিজ রাসেল(১৭ সেপ্টেম্বর) :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। যার জন্য মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অবলোকন করে গেছেন। তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকে। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করে। রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে।
যতো রোহিঙ্গা আসুক না কেন, বিপন্ন মানবতার পাশে থাকবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অসহায় মানুষের পাশে থাকতে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তাই যতো দিন তারা স্বদেশে ফিরে যাবে না, ততোদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাদের পাশে থাকবে।
১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকালে শহরের তারকা মানের একটি হোটেলের বলরুমে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জরুরী মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফারর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মিয়ানমারের পাশবিকতা, বর্বরতা ও দানবিক আচরণ ইতিহাসকেও হার মানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের গেছেন। সেখানে বিশ্ব নেতাদের কাছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরবেন। গড়ে তুলবেন আন্তর্জাতিক জনমত। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, হাওর ট্রাজেডিসহ অনেক অঘটন ঘটেছে। তবুও আওয়ামী লীগ সাহস হারায়নি।
এতো কিছুর মধ্যেও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আমরা উপেক্ষা করতে পারিনা। তাই এ জন্য দুই হাত বিলিয়ে দিয়েছি তাদের সহায়তায়। চরম সাহসিকতার সাথে প্রধানমন্ত্রী সব কিছু পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি কাজ করছে বিদেশী-দেশী এনজিও সংস্থা ও ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ। রোহিঙ্গাদের স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, খাবার সব কিছু নিয়মমাফিক দেয়া হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়াও চলছে। মাঠে নিয়োজিত রয়েছে ৩২টি মেডিকেল টিম। বসবাসের জন্য তৈরি করা হচ্ছে হাজারো আশ্রয়স্থান।
তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, দেশের সব মানুষ যেখানে রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বিএনপি ত্রাণ দেয়ার নামে রাজনীতি করছে। নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা নিয়ম না মেনে ত্রাণ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন দিতে দেয়নি। ত্রাণ দিতে হলে প্রশাসনের মাধ্যমে সমন্বয় করে দিতে হবে। বিএনপি প্রশাসনকে তোয়াক্কা করে না। উল্টো তারা অভিযোগ করছে ২০ দল ভাঙ্গার জন্য তৎপর আওয়ামী লীগ। তাদের জেনে রাখা উচিত, ২০ দল ভাঙ্গার সময় আওয়ামী লীগের নাই।
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন ও রোঙ্গিাদের নিয়ে ব্যস্ত। ২০ দল ভাঙ্গার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট। তাদের নেতাকর্মীদের মাঝে আনুগত্য নেই। নেতা মানে না কর্মীরা। দলীয় কোন্দলে মুহুর্তে এক অপরের উপর হামলা করে। তাই নিজেদের আগে সুশৃঙ্খল করুণ। দেশের সংকটময় মুহুর্তে সরকারকে সহায়তা করুণ।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন আছে, অর্জন আছে। কোন দল ভাঙতে হবে না। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভালবাসে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতা ও মন্ত্রীদের পেছনে ঘুর ঘুর না করে নেত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করুন। উখিয়া-টেকনাফে পড়ে থাকেন। মানবতার পাশে থাকলে সব অর্জন এমনিতেই আসবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঈীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আবদুর রহমান বদি এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোঃ আলী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী চেয়ারম্যান।
Posted ৭:২০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta