হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৭ আগষ্ট) :: আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে হ্নীলা ইউনিয়নের অসহায়-দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্ধকৃত ৪ হাজার পরিবারের ভিজিএফ চালের মধ্যে প্রায় দু‘শ মানুষ চাল প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্ধকৃত কার্ডের বিপরীতে অসহায়-দরিদ্র জনসাধারণের চাল উধাও হওয়ায় জনমনে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ১৭ আগষ্ট সকাল ৯টারদিকে উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণের জন্য আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে এমপি আলহাজ¦ আব্দুর রহমান বদির নির্দেশনায় ৪ হাজার দরিদ্র পরিবারের জন্য (২০ কেজি) করে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু হয়।
দুপুরের দিকে এসে হঠাৎ এই চালের সংকট দেখা দেয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত প্রায় ২শ ভিজিএফ চাল প্রত্যাশী লোকজনকে হঠাৎ চাল নেই বলে তাড়িয়ে দেয়। এতে দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নাটমোরা পাড়ার ইলিয়াছ, মইন্যাজুমের মঞ্জুর ক্ষোভের সুরে বলেন, উপজেলা পরিষদ হতে চাল আনার সময় চুরি করে বরাদ্ধের চাল বিক্রি করা হয়েছে অথবা রাতের আঁধারে স্থানীয় কোন মহলকে দিয়ে পাচার করা হয়েছে। না হলে সরবরাহকৃত কার্ডের চাল কোথায় উধাও হয়ে গেল বলে প্রশ্ন তোলেন। ভিজিএফ চাল প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে নির্ধারিত ২০ কেজির কম চাল পেয়েছে বলেও জানান।
এই বিষয়ে হ্নীলা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ৩৫-৪০ জন দরিদ্র মানুষ ভিজিএফ চাল বিতরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের কার্ড হাতিয়ে নিয়ে চাল ছাড়া তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বরাদ্ধের এই চাল কোথায় গেল আমি জানতে চাই ?
৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ারুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু কার্ডধারী লোক চাল না পেয়ে হতাশায় ফেরত যেতে দেখা গেছে।
৭নং ওয়ার্ডের ঠান্ডা মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় মেম্বার ও দলীয় কার্ড বিতরণে চরম অণিয়ম ঘটেছে। যা সরকারের অবদানকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছেন। তদন্ত স্বাপেক্ষে এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।
১, ২ ও ৪নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগম, এলাকার লোকজন চাল না পেয়ে ফিরে আসার বিষয়টি স্বীকার করেন।
৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন,আমার ওয়ার্ডে ৫০ জন দরিদ্র মানুষ ভিজিএফ চাল পায়নি। এই ব্যাপারে ইউপি সচিবের নিকট জানতে চাইলে অবশিষ্টদের ঈদের পর চার বিতরণের আশ^াস দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোছনের বরাদ দিয়ে হাকিম উদ্দিন পাহাড়ী জানান, কার্ডের বিপরীতে সবাইকে চাল দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভূলক্রমে কেউ না পেয়ে থাকলে তাদের ঈদের পর পরই দেওয়া হবে।
Posted ১১:০৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta