শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

২১ বছর পাহাড়ে খুনোখুনি : নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার, আরো হত্যার ঘোষণা

রবিবার, ০৬ মে ২০১৮
464 ভিউ
২১ বছর পাহাড়ে খুনোখুনি : নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার, আরো হত্যার ঘোষণা

কক্সবাংলা ডটকম(৬ মে) :: তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকা এখন সশস্ত্র চার গ্রুপের অভরণ্যে পরিণত হয়েছে। ভূমি যার বেশি, চাঁদা তার বেশি এই আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে সশস্ত্র চার গ্রুপ। এটাই তাদের মূল দ্বন্দ্ব। তারা শান্তি চুক্তির বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকটাই খুন করার নিরাপদ এলাকা যেন এখন পাহাড়ী এলাকা।

সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে চারটি পাহাড়ি সংগঠনে ভয়াবহ টার্গেট কিলিং। একের পর এক বাড়ছে লাশের মিছিল। জঘন্যতম এসব খুন-পাল্টা-খুনের ঘটনা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।

জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বের ইউপিডিএফ ও জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামের এ চারটি পাহাড়ি সংগঠন কার্যত একে অপরকে আধিপত্য রক্ষায় অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে টার্গেট কিলিং শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, টার্গেট কিলিংয়ের চরম আতঙ্কে রয়েছেন ইউপিডিএফ সমর্থিত খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমাসহ পাহাড়ের একাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার সংগঠনের হেভিওয়েট নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার পাহাড়ি সংগঠনের সমর্থিত উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বর্তমানে নিজ নিজ নিরাপত্তার বেষ্টনীর বাহিরে কোথাও সরকারি ও সামাজিকভাবে আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রন থাকলেও তা বাতিল করছেন। নিজ ঘরেও অবস্থান করছেন না একাধিক জনপ্রতিনিধি। মুঠোফোনও বন্ধ রাখছেন অনেকেই।

টার্গেট কিলিংয়ে এ পর্যন্ত বেসরকারি হিসাবে মতে, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে গত পাঁচ মাসে পাহাড়ি সংগঠনের সশস্ত্র তৎপরতায় খুন হয়েছেন মোট ১৮ জন নেতাকর্মী। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জনসংহতি এমএন লারমা গ্রুপের নেতা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। গুলিবিদ্ধ হন তার সহযোগী রূপম চাকমা।

শক্তিমানের দাহক্রিয়ায় যোগ দিতে গিয়ে উত্থানের সাড়ে পাঁচ মাসের মাথায় মহালছড়ির বেতছড়িতে খুন হন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচ নেতাকর্মী। পাহাড়িদের এই সংঘাতে বলি হয়েছেন মাইক্রো চালক মো. সজীব।

শান্তিচুক্তির পর গুম-খুন সাড়ে ৪ হাজার

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম (শান্তিচুক্তি) চুক্তির পর থেকে চলতি বছরের ৪ মে পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় সামাজিক অপরাধের বাইরে খুন হয়েছে ২,২৩৯ জন। অপহৃত হয়েছে ২,৩৯৬জন।

গুম-খুনের শিকার অধিকাংশই বাঙালি। বাঙালিরা খুন হয়েছেন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও চাঁদাবাজির জের ধরে এবং অধিকাংশই পাহাড়িদের হাতে। নিহতদের এক-তৃতীয়াংশ পাহাড়ি। তাদের অধিকাংশ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে পাহাড়িদের নিজস্ব অন্তর্কোন্দলের কারণে।

 

চলতি বছরে বিগত পাঁচ মাসে সশস্ত্র তৎপরতায় খুন হয়েছে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে মোট ১৮ জন। এর মধ্যে শুক্রবার রাঙ্গামাটি সড়কে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৪ নেতার সঙ্গে বলি হয়েছেন বাঙালি নিরীহ মাইক্রো চালক মো.সজীব। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আট নেতাকর্মী।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ের সম্মুখে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস এমএনলারমা গ্রুপের নেতা শক্তিমান চাকমা।

এছাড়াও গত ৪ মার্চ থেকে অপহৃত অবস্থায় রয়েছেন রামগড়ের মারমা ঐক্য পরিষদ নেতা চাইথুই মারমা। গত ১৬ এপ্রিল থেকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার কাঠ ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দীন, মো. বাহার মিয়া (ড্রাইভার) ও মহরম আলী অপহৃত অবস্থায় রয়েছেন।

পরিবার সূত্র জানায়, তিন কাঠ ব্যবসায়ীকে মহালছড়ির মাইসছড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ১৯ দিন পরও প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনি।

ফিরে দেখা রক্তাক্ত পাহাড়

২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে অনাধি রঞ্জন চাকমা (৫৫) নামে ইউপিডিএফ সমর্থক ইউপি সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ী করে ইউপিডিএফ। ওই দিন সকালে অনাধি চাকমাকে নানিয়ারচর সতেরোমাইল ও আঠারোমাইলের মধ্যবর্তী চিরঞ্জীব দোজরপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

একই দিন রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করে।

একদিন পরই ৭ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভানেত্রী ঝর্ণা খীসার বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গায় ইউপিডিএফ কর্মী ও সংগঠক অনল বিকাশ চাকমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইউপিডিএফ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য নতুন ইউপিডিএফকে দায়ী করে।

গত ৩ জানুয়ারি বিলাইছড়ি উপজেলায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বরায় তংচঙ্গ্যাকে গুলি করা হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনার জন্য যুবলীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছিল।

একই দিন খাগড়াছড়ি জেলা শহরে স্লুইচগেইট এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিঠুন চাকমাকে। ইউপিডিএফ এই হত্যার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সুভাষ চাকমা নামের একজন গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তিনিও ইউপিডিএফ কর্মী ছিলেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি শহরের হরিনাথপাড়া এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মী দীলিপ কুমার চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ইউপিডিএফের হরিনাথ পাড়ার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন।

গত ১১ মার্চ বাঘাইছড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ইউপিডিএফকর্মী নতুন মনি চাকমাকে। তিনি ইউপিডিএফের প্রসিত বিকাশ খীসার পক্ষের ছিলেন।

এরপর ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির কুতুছড়ি থেকে অপহরণ করা হয় ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে। ৩২ দিন পর ১৯ এপ্রিল মুক্তি পান তারা। এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করে ইউপিডিএফ।

গত ১২ এপ্রিল পাল্টাপাল্টি হামলায় মারা যান তিনজন। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় ইউপিডিএফের এক সদস্যকে গুলিতে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেএসএসের (এমএন লারমা) দুই কর্মীকে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ কর্মী জনি তঞ্চঙ্গ্যা (৪০), জেএসএস (এমএন লারমা) কর্মী পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০) এবং কালোময় চাকমা (২৯)।

এরপর ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি শহরের পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সূর্য বিকাশ চাকমা নামে একজন নিহত হন। তিনিও ইউপিডিএফ এর দুই অংশের বিরোধের কারণে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।

গত ২২ এপ্রিল খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মরাটিলা এলাকায় ইউপিডিএফ ও জেএসএসের (এমএন লারমা) মধ্যে গোলাগুলিতে সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা (৪০) নামে এক ইউপিডিএফ নেতা নিহত হন।

সর্বশেষ ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলায় নিজ কার্যালয়ে সামনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএসের (এমএন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা শক্তিমান চাকমাকে। এইসময় তার সাথে থাকা সংগঠনটির আরেক নেতা রূপম চাকমাও গুলিবিদ্ধ হন।

এর একদিন পরেই শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, একই দলের নেতা সুজন চাকমা, সেতুলাল চাকমা, টনক চাকমা এবং তাদের গাড়িচালক সজীব।

জানা গেছে, পাহাড়ের সাধারণ মানুষ সংঘাতের অবসান চাইলেও আঞ্চলিক দলগুলো একে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বলতে রাজি নয়। শান্তি চুক্তির পর ২০১৫ সনে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের মধ্যে অলিখিত সমঝোতা হলে সংঘাত বন্ধ থাকে।

কিন্তু গত বছরের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ ভেঙে ইউপিডিফ গনতান্ত্রিকের জন্ম হয়। নতুন ইউপিডিএফ গঠনের পর গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ৪ মে পর্যন্ত আক্রমণে-পাল্টা আক্রমণে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

জনসংহতি ভেঙে ৪ সংগঠনের তৎপরতায় অস্থির পাহাড়

দীর্ঘ দুই শকের সশ্রস্ত্র সংঘাত নিরসনে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে সবার প্রত্যাশা ছিল পাহাড়ে ফিরবে বহু কাঙ্ক্ষিত শান্তি। কিন্তু পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পাহাড়িদের একটি অংশ এর বিরোধিতা করে ইউনাইটেড পিপলস অব ডেমোক্রটিকস ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ নামে আরেকটি সংগঠন জন্ম নেয়। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রসিত বিকাশ খীসা।

পরবর্তীতে সন্তু লারমার একক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে জনসংহতি সমিতি ভেঙে জেএসএস (এমএন লারমা) নামে আরেকটি সংগঠন জন্ম লাভ করে। ইউপিডিএফ ভেঙে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর জন্ম নেয় গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ নামে আরেকটি সংগঠন।

নতুন সংগঠন গড়ার সাড়ে পাঁচ মাসের মাথায় শুক্রবার দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড় রক্তে লাল হয়ে উঠছে। অস্ত্রের কাছে হেরে যাচ্ছে মানবতা আর মানবিকতা। অস্ত্রধারীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে প্রতিটি পাহাড়ি-বাঙালি পরিবার।

কিলিং মিশনে বাড়ছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার

ইউপিডিএফ ভেঙে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার পর পাহাড়ে কিলিং মিশনে বাড়ছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১২ মাসে খাগড়াছড়িতেই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে প্রায় ২৪টি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তিনবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ আসামিই বর্তমানে জেলহাজতের বাইরে রয়েছে।

ইউপিডিএফ নেতা নিরন চাকমা বলেন, পাহাড়ের এ সমস্যা রাজনৈতিক। আর ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের জন্য সন্তু লারমা দায়ী। তিনি সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। আগে সরকার তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে যা করতো এখন সন্তু লারমাকে দিয়ে তা করানো হচ্ছে।

এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতা এবং বেপরোয়া হত্যার ঘটনাকে সরকার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। এখন সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই আমরা পদক্ষেপ নেব।

বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশনের সাবেক কমিশনার নিরূপা দেওয়ান বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় হতাশা থেকে এবং কিছু মানুষের প্ররোচণায় এসব ঘটনা ঘটছে। আমরা পাহাড়ে সংঘাত চাই না, শান্তি চাই। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আঞ্চলিক দল এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সংঘাত যে কোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে না পারে সে জন্য মানুষের ভয়-ভীতি সৃষ্টি জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে এত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা ইচ্ছা করলে সংঘাত বন্ধ করতে পারে। পাহাড়ের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর বলেন, ‘পাহাড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ প্রস্তুত। নানিয়ারচর উপজেলার উক্ত দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পাহাড়ে হত্যাকান্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।

464 ভিউ

Posted ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৬ মে ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com