কক্সবাংলা ডটকম(১৩ মে) :: প্লে অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে শেষ ৩ ম্যাচই জিততে হতো দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে। কিন্তু এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলির ঝড়ে তাদের বিদায় নিশ্চিত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
রবিবার এক ওভার হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে কোহলির দল। দিল্লিকে বিদায় করলেও তাদের চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় আছে বেঙ্গালুরুও। ১১ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে তারা। ১২ ম্যাচে ৬ পয়েন্টে সবার শেষে দিল্লি।
ফিরোজ শাহ কোটলায় নিজেদের টানা ষষ্ঠ জয়ের পথে ১৮২ রানের লক্ষ্য পায় বেঙ্গালুরু, যার ১৪২ রান এসেছে কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। ৪০ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৭০ রান করে আউট হন কোহলি।
১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে চতুর্থ জয় পায় বেঙ্গালুরু।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে রিশভ পান্তের সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী অভিষেক শর্মার ঝড়ে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে দিল্লি। ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে পান্ত ৩৪ বলে ৬১ রান করেন। এরপর অভিষেক ম্যাচেই ১৯ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন অভিষেক। ৩ চার ও ৪ ছয় ছিল তার ইনিংসে।
নারিন-কার্তিক ঝড়ে কলকাতার জয়
ঘরের মাঠে ছোট বাউন্ডারির কারণে টসে জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তাদের এই পরিকল্পনা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে চলতি পাঞ্জাবের সামনে আসরের দলীয় সর্বোচ্চ ২৪৫ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
জয়ের ধারায় ফিরতে রেকর্ড গড়তে হতো স্বাগতিক পাঞ্জাবকেও। আর সে চ্যালেঞ্জে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২১৪ রান করে দলটি। ফলে ৩১ রানে হার মানতে হয়েছে তাদের।
লোকেশ রাহুল ও রবীচন্দ্রণ অশ্বিন ঝড় তুললেও বড় লক্ষ্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। রাহুল ২৯ বল থেকে দুটি চার ও সাতটি ছক্কার মারে করেন ৬৬ রান। শেষ দিকে অশ্বিন ২২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মারে ৪৫ রান করেন। এর বাইরে ২০ বল থেকে তিন ছক্কায় ৩৪ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ। কলকাতার আন্দ্রে রাসেল তিনটি ও প্রাসিদ কৃষ্ণ দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে কিংস অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিনের আমন্ত্রণে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে কলকাতা। শুরুতেই ঝড় তোলেন সুনীল নারিন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সূচনা পায় কেকেআর। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ বলে ৫৩ রান যোগ করেন ক্রিস লিন এবং নারিন। ১৭ বলে ২৭ রান করে ফিরে যান লিন।
দ্বিতীয় উইকেটে আরো বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন নারিন এবং রবিন উথাপ্পা। মাত্র ৩৭ বলে ৭৫ রান যোগ করেন এই দু’জন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় সাজঘরের ফেরার আগে ৯ চার এবং ৪ ছক্কার মারে ৩৫ বল থেকে ৭৫ রান করে আউট হন নারিন। একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন ১৭ বলে ২৪ রান করা উথাপ্পাও।
কলকাতার ইনিংসের বাকি পথ এগিয়ে নেন অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক এবং ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৩১ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন এই দু’জন। রাসেল ১৪ বলে ৩১ এবং কার্তিক খেলেন ২৩ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
শেষদিকে শুভমান গিল এবং জ্যাভন সেয়ারলেসের ব্যাটে ২৪৫ পর্যন্ত পৌঁছায় কলকাতার ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে স্ট্রাইক পেয়ে ছক্কা মারেন সেয়ারলেস, ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন গিল। কিংসদের পক্ষে অ্যান্ড্রু টাই ৪টি উইকেট নেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতার অবস্থান এখন চতুর্থ স্থানে।