
কক্সবাংলা ডটকম :: বন্ডি সৈকতে হামলার পর বন্দুক বাইব্যাক বা পুনঃক্রয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এটি ১৯৯৬ সালে পোর্ট আর্থার গণহত্যার পর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খবর বিবিসি।
তিন দশক আগে ৩৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘বিশ্বসেরা’ বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে, গত রোববার দেশটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকতে একটি ইহুদি উৎসবে দুই বন্দুকধারী (বাবা-ছেলে) গুলি চালালে ১৫ জন নিহত ও ডজনখানেক মানুষ আহত হন।
পুলিশ মনে করছে, হামলাকারীরা ‘ইসলামিক স্টেট মতাদর্শে’ অনুপ্রাণিত।
ঘটনাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী হামলা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্দুকধারী ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরামের বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি হত্যা ও একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটনের অভিযোগ।
হামলার সময় তার বাবা সাজিদ নিহত হন।
হামলার পরদিনই অস্ত্র আইন কঠোর করার বিষয়ে একমত হয় দেশটির ন্যাশনাল ক্যাবিনেট।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ লাখের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে—যা পোর্ট আর্থার হত্যাকাণ্ডের সময়ের তুলনায় বেশি।
সাম্প্রতিক এ হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের একজন বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারী ছিলেন। তার কাছে ছয়টি বন্দুক ছিল। শহরতলীতে বাসকারী একজনের এত অস্ত্র রাখার কোনো যুক্তি নেই।
এই পরিস্থিতিতে বন্দুকের সংখ্যা কমাতে বাইব্যাক (পুনঃক্রয়) কর্মসূচির বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট।
নতুন এ কর্মসূচির আওতায় অতিরিক্ত, সদ্য নিষিদ্ধ ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সরকার কিনে নেবে। কয়েক লাখ আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ শেষে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
জাতীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন সর্বোচ্চ কতটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন তার সীমা নির্ধারণ করা হবে, অনির্দিষ্টকাল মেয়াদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স সীমিত করা হবে, কোন ধরনের বন্দুক বৈধ হবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব বাধ্যতামূলক করা হবে।

Posted ২:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta