মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কী হচ্ছে সৌদি আরবে : ২৪ ঘণ্টায় ২ রাজকুমার নিহত, কে এই ক্ষমতাধর যুবরাজ সালমান ?

মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৭
2290 ভিউ
কী হচ্ছে সৌদি আরবে : ২৪ ঘণ্টায় ২ রাজকুমার নিহত, কে এই ক্ষমতাধর যুবরাজ সালমান ?

কক্সবাংলা ডটকম(৭ নভেম্বর) :: ২৪ ঘণ্টায় দুই সৌদি রাজকুমারের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সাবেক যুবরাজ মুকরিন বিন আবদুল আজিজের পুত্র মানসুর বিন মুকরিন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এবং সাবেক বাদশাহ ফাহাদের পুত্র আবদুল আজিজ গ্রেফতার এড়াতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ রাজকুমারকে গ্রেফতারের একদিন পর সোমবার এসব মৃত্যুর খবর জানা গেল।

সৌদি আরবের দক্ষিণ সীমান্তের আসির প্রদেশে সোমবার সকালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রিন্স মানসুর বিন মুকরিনসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রিন্স মানুসর আসির প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রিন্স মানসুর সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তার ও সফরসঙ্গীদের মৃত্যু হয়।

পৃথক খবরে জানা গেছে, সাবেক সৌদি বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের কনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স আবদুল আজিজ গ্রেফতার এড়াতে গিয়ে গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালালে তার নিরাপত্তাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে প্রিন্স আবদুল আজিজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

৪৪ বছর বয়সী আবদুল আজিজ লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি ও সাদ হারিরির ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। নির্মাণ কনগ্লোমারেট সৌদি ওগের লিমিটেডের তিনি উল্লেখযোগ্য অংশীদার ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় সাদ হারিরি আকস্মিকভাবে লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। এর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে আবদুল আজিজের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

সাদ হারিরির পদত্যাগের ঘোষণার সমসময়ে সৌদি আরবে নজিরবিহীন ধরপাকড়ে ১৭ রাজকুমারসহ মোট ৩৮ জন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। সাদ তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে লেবাননের রাজনীতিতে ইরানের হস্তক্ষেপের কথা বলেছিলেন। আবদুল আজিজ বিন ফাহাদের মৃত্যুর খবর বেরোনোর পর অনলাইনে অনেকে ভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

তাদের মতে, সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার দ্বন্দ্বের জের ধরে সাদ হারিরিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে এবং একই কারণে আবদুল আজিজকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

নিহত প্রিন্স মানসুর সাবেক যুবরাজ মুকরিন বিন আবদুল আজিজের পুত্র। সাবেক বাদশাহ ফাহাদের ভাই মুকরিনকে হটিয়ে বর্তমান বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজ নিয়োগ করেন। এরপর গত জুনে তিনি মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজের কনিষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ও উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন।

সৌদি রাজসভার কর্মকর্তারা প্রিন্স আবদুল আজিজের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। প্রিন্স মানসুর বিন মুকরিনের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাব্য কোনো কারণ তারা বলেননি। তবে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজপরিবারের সদস্যদের আকাশযানে আরোহণ ও দেশ ত্যাগ নিষিদ্ধ থাকাবস্থায় মানসুর বিন মুকরিন কীভাবে হেলিকপ্টারে উড্ডয়ন করলেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

কী হচ্ছে সৌদি আরবে

সৌদি রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের খবর শোনা যাচ্ছিলো বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। ২০১৫ সালে যুবরাজ মনোনীত হওয়া মুহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে কিছুদিন আগে বাদশাহ সালমান তার নিজ সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ঘোষণা করেন।

সেই থেকে গুঞ্জন ওঠে, সাবেক যুবরাজ নায়েফকে প্রাসাদে আটকে রাখা হয়েছে এবং বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এরইমধ্যে একদিকে মন্ত্রীদের ধরপাকড়, অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীতে বড় ধরনের রদবদলের খবর মেলে শনিবার।

রাজ কতৃপক্ষ বলতে চাইছে, সৌদি আরবে আধুনিকায়নের রাজনৈতিক সংস্কার চলছে। তবে  এবারের গ্রেফতার-আটকের ঘটনায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের পুরনো ঐতিহ্য ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। অনেক গোপনীয়তা সত্ত্বেও তা আড়াল করতে পারছে না রাজপরিবার।

বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সৌদ কর্তৃক ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সৌদি রাজত্ব। এই ৮৫ বছরে শাসন করেছেন ছয়জন বাদশাহ। এরা সবাই বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সৌদের সন্তান। ৬ জনের কেউ ৫০ বছর বয়সের আগে হাল ধরেননি এই বিশাল তেল-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের। বর্তমান অসুস্থ বাদশাহ সালমান, প্রায় তিন বছর আগে সিংহাসনে বসেন। সে সময় তিনি ৭৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।

বাদশাহ সালমান বর্তমান রাজমুকুটধারী যুবরাজের মাধ্যমে ডজন খানেক মন্ত্রী, রয়্যালস, কর্মকর্তা ও সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও বরখাস্ত করেন। নজিরবিহীন এই ঘটনাটি এখনও  গোপনীয়। তবে যার কারণে বস্তুত রাজকীয় সিংহাসনের এমন একটি টালমাতাল বাস্তবতা, সেই বাদশাহ সালমান তিন বছর আগে পুরোনো এবং অভিজ্ঞ শাসকদের মধ্যে সামান্য পরিচিত ছিলেন।

কয়েক দশক ধরেই, রাজ্য শাসনামলের দায়িত্ব ভাই থেকে ভাইয়ের মধ্যে স্থানান্তর করা হতো। কিন্তু যুবরাজ মোহাম্মদ তার বাবা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পেলেন। যুবরাজ ইতোমধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং দেশের অর্থনীতি, পরিকল্পনা, সংস্কার ও নিরাপত্তাসহ সকল দিকের তত্ত্বাবধানের দিকে নজরদারি দিচ্ছেন। যদিও মাত্র কয়েক মাস আগে,  সিংহাসনে তার দায়িত্বের সম্ভাবনা ছিলো খুব অল্প।

রাজকীয় প্রথা মোতাবেক, ২০১৫ সালে বাদশাহ আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর  মুহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজ মনোনীত করা হয়। মুহাম্মদ বিন নায়েফ দেশটির প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। কিন্তু রাজা সালমান তাকে উত্তরাধিকার সূত্রে থেকে সরিয়ে দেন।  অভিযোগ আছে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ঘোষণা করার পর সাবেক যুবরাজ নায়েফকে প্রাসাদে আটকে রাখা হয়েছে এবং বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও সিংহাসনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আরও ক’জন প্রতিদ্বন্দ্বী থেকেই যায়। এরইমধ্যে শনিবার ১১ রাজপুত্র গ্রেফতারের খবর শোনা যায়।

সম্প্রতি এক রাজ ডিক্রির মাধ্যমে বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে একটি দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করেন। যার প্রতিফলন হিসেবে শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ১১জন রাজপুত্র, চারজন বর্তমান মন্ত্রী ও ১০ জন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করা হয়। আর এই দুর্নীতিবিরোধী জালিয়াতিতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এক সাহসী পদক্ষেপ দেখিয়েছেন তিনি। যুবরাজ সালমান তাঁর প্রজন্মের প্রথম রাজা হবেন ,যিনি কিনা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা রাজা আব্দুল আজিজ’এর  ছেলে, তার বাবা সাবেক রাজা সালমানের কাছে থেকে সরাসরি রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।

যুবরাজ তার শাসনের শুরুর দিকেই তার সৎ ভাই প্রিন্স মুকরিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে সরিয়ে ফেলেন। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, বাদশাহ সালমান তার ছেলে মোহাম্মদ বিন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ডেপুটি ‘ক্রাউন প্রিন্স’ বা উপ-যুবরাজের উপাধিতে ভূষিত করেন। রাজার নেওয়া এমন পদক্ষেপ ক্ষমতাসীন পরিবারের অনেক সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ সদস্যদেরকে বিস্মিত করেছিলো। সিংহাসনে আরোহণের ক্ষেত্রে ডজনেরও বেশি উত্তরাধির যুবরাজকে পেছনে ঠেলে তাকে সামনের কাতারে নিয়ে আসা হয়।

সৌদি রাজপ্রথা অনুযায়ী, এক জন বাদশাহর শাসনকাল শেষে সেই সময়ের যুবরাজ যখন দায়িত্ব নেন, তখন “এলিয়জ্যান্স কাউন্সিল” নামক একটি সংস্থা নতুন যুবরাজ মনোনীত করেন। সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহ সিংহাসনে আরোহণ করার পর ২০০৭ সংস্থাটি গঠন করেছিলেন। যদিও ২০১৫ সালের বিশৃঙ্খলা এর অকার্যকারিতাকেই সামনে এনেছে। সীমিত হয়ে এসেছে এর কর্মক্ষেত্র।

অবশ্য সৌদি রাজতন্ত্রে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সবসময়ই ছিল। তবে রাজপরিবারের সেই অভ্যন্তরীণ সংকট কোনদিন এমন জোরালোভাবে সামনে আসেনি। ভিন্নমত সত্ত্বেও  দীর্ঘ সময় ধরে রাজপরিবার একক কণ্ঠস্বরকেই ঐতিহ্য হিসেবে অনুসরণ করে আসছে। তবে এবার তা ভেঙে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে সামনে এসেছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গ্রেফতার-আটকের ঘটনাকে সংস্কার প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সৌদি আরব ঠিক আগে যেমন ছিল, আবার তেমনই হবে। উদার নীতিতে ফিরে যাবে সৌদি আরব।’তবে পুরনো ঐতিহ্য ভেঙে এই বিপুল গ্রেফতার আটকের ঘটনার কারণে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করে উন্মোচিত হয়েছে।

কে এই প্রবল ক্ষমতাধর যুবরাজ সালমান?

কে এই প্রবল ক্ষমতাধর যুবরাজ সালমান?

গভীর রাতে সৌদি আরবের রাজপরিবারের অন্দরমহলে অভিযানের পিছনে কি শুধুই দুর্নীতি? নাকি পথের কাঁটা দূর করতেই যুবরাজের এমন পদক্ষেপ? যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতার উৎসই বা কি এমন প্রশ্ন উঠছে বিশ্বজুড়ে।

একটা সময় ছিল যখন সৌদি আরবের বাইরে কম মানুষ মোহাম্মদ বিন সালমানকে চিনতেন।
২০১৫ সালে তার বাবা যখন সৌদি আরবের বাদশাহ হন, তখন থেকে মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম আলোচনায় আসতে থাকে। ৩১ বছর বয়সী এ ব্যক্তি সৌদি আরবের ভেতরে প্রবল ক্ষমতাধর হয়ে উঠেন।

মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স পদে আসীন করেন তার বাবা এবং সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান। এ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল মোহাম্মদ বিন সালমানের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বিন নায়েফকে। ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে যিনি আসীন হন, পরবর্তীতে তিনিই হবেন সৌদি আরবের বাদশাহ।

বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১ আগস্ট। তৎকালীন সৌদি প্রিন্স (বর্তমানে বাদশাহ) সালমান বিন আব্দুল আজিজ-এর তৃতীয় স্ত্রীর বড় সন্তান হচ্ছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে করেছেন।

২০০৯ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তার বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ তখন রিয়াদের গভর্নর ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তখন তাকে মন্ত্রীর মর্যাদায় ক্রাউন প্রিন্স কোর্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ঠিক এর আগের বছর তার বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে আসীন হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ বিন নায়েফের বাবা নায়েফ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে আসীন হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ মারা যাবার পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশাহ হন। তিনি ক্ষমতাসীন হাবার পর তাৎক্ষণিকভাবে দুটো সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাবার পরেই ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে শুরু হয় সামরিক অভিযান।

হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত দুই বছর ধরে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চললেও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। সৌদি আরব এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বাদশাহ সালমান তার ক্ষমতার উত্তরাধিকার হিসেবে বেশ নাটকীয় পরিবর্তন আনেন।

মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়। মোহাম্মদ বিন সালমানকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়। একই সাথে তিনি সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিষয়ক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান।

এরপর মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালকে লক্ষ্য করে সৌদি আরবের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন।

দেশর বাইরে তিনি তার বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজের প্রতিনিধিত্ব করে বেইজিং, ওয়াশিংটন সফর করেছেন। ওয়াশিংটন সফরে গত মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন।

2290 ভিউ

Posted ২:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com