আল জাজিরায় প্রচারিত `আল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ শিরোনামে বিতর্কিত প্রামাণ্য চিত্রটি ফ্রিডম পার্টি তোষণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদন তৈরিতে শুধু লন্ডন পলাতক তারেক জিয়া এবং যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর সন্তানরাই জড়িত নয়, এর সাথে ৭৫ এর খুনিদেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ৭৫ এ জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। তাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বঙ্গবন্ধুর অত্মস্বীকৃত কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। দণ্ড নিয়ে অনেকে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে।
বিদেশে পালিয়ে থাকাদের মধ্যে খুনি রশিদ, ডালিম এবং নূর চৌধুরী অত্যন্ত সক্রিয়। এই তিন জনের সঙ্গেই আল-জাজিরার বিতর্কিত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। খুনি আবদুর রশীদ পাকিস্তানে রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে খুনি রশীদের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন তৈরিতে রশীদের লোকজন সহযোগিতা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রামাণ্যচিত্রে হারিস এবং তার ভাইদের বিরুদ্ধে যে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটিও চমকপ্রদ। মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বিএনপি শাসনামলে তাদের গ্রেফতার এবং বিচার করা হয়েছিল। পলাতক হারিছকে বিএনপি সরকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছিল। জোসেফের মৃত্যুদণ্ডও হয়েছিল বিএনপির আমলে। যাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই মোস্তফা আসলে ফ্রিডম পার্টির শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক আওয়ামী লীগের কর্মীকে হত্যার অভিযোগ ছিলো। কিন্তু আল-জাজিরার রিপোর্টে মোস্তফার পরিচয় গোপন করা হয়েছে। এতো বছর পর ফ্রিডম পার্টির একজন সন্ত্রাসীকে কেন মহামান্বিত করার চেষ্টা হলো সে প্রশ্ন উঠছে।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। এদের প্রত্যেকেই লোভনীয় কূটনৈতিক চাকরিও দেন জিয়া। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় খুনিরা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে। যার নাম `ফ্রিডম পার্টি`। এই ফ্রিডম পার্টি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো ঐ নির্বাচন বর্জন করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলে ফ্রিডম পার্টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান এবং তারেক জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করেছে বলে জানা গেছে।