হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ(৫ জুলাই) :: কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলার হ্নীলায় বিজিবি সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।ঘটনাস্থল থেকে ৫০হাজার ইয়াবা,একটি চায়না পিস্তল ,দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাত ১১টার দিকে হ্নীলা ইউপি ওয়াব্রাং নানীরবাড়ি এলাকা নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- উখিয়া কুতুপালং ৫নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের ব্লক-জি ২/ই, শেল্টার নম্বর৪৫১২৮৪ বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি ছেলে মোঃ আলম(২৬)ও উখিয়া বালুখালী ১৮নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের ব্লক কে/৩,বাসিন্দা মোঃ এরশাদ আলীর ছেলে মোঃইয়াসিন(২৪)।
টেকনাফ-২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান ওয়াব্রাং নানীরবাড়ি এলাকায় দিয়ে পাচার হবে।
এমন তথ্যে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় অভিযানে গেলে দূর থেকে ২-৩জন ব্যক্তিকে সাঁতরিয়ে নাফনদীর কিনারায় উঠতে দেখে।টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই তারা নাফনদীর কিনারা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
টহলদল তাদের পিছু ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে।এতে বিজিবি দুই সদস্য আহত হন।আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে।এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ৪-৫মিনিট গুলি বিনিময় হয়।
এক পযার্য়ে একজন ইয়াবা কারবারী গুলি করতে করতে কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।গুলাগুলি থামার পরে টহলদল ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৫০হাজার পিস ইয়াবা,একটি চায়না পিস্তল ,দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই যুবককে উদ্ধার করে।
প্রথমে তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আহত বিজিবির দুই সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
