কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ জানুয়ারী) :: সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায়ও জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) শুরু হয়েছে। জেলায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯০১ জন শিশুকে ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর শুভ উদ্বোধন করেছেন জেলা সিভিল সাজন ডা: মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।
১১ জানুয়ারী শনিবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলার খরুলিয়া কমিউনিটি টিকা কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: মিজবাউদ্দিন,জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজ,স্বাস্থ্য সহকারী বিজয় ভট্রাচার্য্য সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা।
এ সময় তিনি বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করে থাকে। তাই সরকার সারাদেশে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একযোগে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। ভিটামিন এ ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।ক্যাম্পেইনে টিকা খাওয়ানোর পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন পুষ্টিবার্তাও প্রচার করা হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ১টি ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।তবে ৪ মাস আগে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল পেয়েছে- এমন কোন শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে না।
জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজ জানিয়েছেন,শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নের ২১৬টি ওয়ার্ডে ১,৯৫১টি টিকাদান কেন্দ্র ,৯টি স্থায়ী ও ১,৮৪০টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, ২৭টি ভ্রাম্যমান ও ৭৫টি অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।জেলা কারাগারের ৩২ শিশুক্রে এ টিকা খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও জানান,কক্সবাজার সিভিল সার্জনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে ২০৬ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ২১৬ জন তত্ত্বাবধায়ক। বছরে দুইবার ছয় থেকে পাঁচ মাস বয়সীদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
Posted ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta