এম.এ আজিজ রাসেল(২৭ মার্চ) :: চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ৪৭ বছর পূর্ণ করা বাংলাদেশে এবার স্বাধীনতা দিবস এসেছে নতুন অনুষঙ্গ নিয়ে। এ বছরই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি মিলেছে জাতিসংঘের কাছ থেকে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের সামনে যেমন নতুন চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে, তেমনি রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
সেই স্বপ্ন পূরণে স্বাধীনতা দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ছিল জঙ্গীবাদ-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় শপথ।
২৬ মার্চ সোমবার দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে স্বাধীনতা দিবসে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালার। এর আগে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ উপজেলার বিভিন্ন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীগ, জেলা পুলিশ, পৌর আওয়ামী লীগ, সিভিল সার্জন অফিস, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ একাধিক সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াে শিশু-কিশোরদের আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও শারীরিক কসরত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন। দুপুরে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় খেলাধুলা। বিকালে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ও সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে কবিতা আবৃত্তি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন ভবনে, বাড়িঘর, যানবাহন ও দোকানে উড়েছে জাতীয় পতাকা। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।
জেলার মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়। মন্দির,প্যাগোডাতেও অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা সভা।
জেলা তথ্য অফিস মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে। হাসপাতাল, জেলাখানা, সরকারী শিশুসনদসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠান সমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
Posted ১:৪১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta