মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:: চকরিয়ার মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে একশ্রেণীর বালু খেকোর দল। এরা নদীর থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
এতে মাতামুহুরী নদীর তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যার ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হলেও থেমে থাকেনি ওইসব বালি খেকোদের বালি বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
তবে, এবার অনেকটা শক্ত অবস্থানে মাঠে নেমেছেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। যেখানেই বালি উত্তোলনের সংবাদ পাচ্ছেন, সেখানেই উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত চালানো হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডস্থ দিগরপানখালীর মাতামুহুরীর তীর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় নাম্বারবিহীন ৫টি বালি ভর্তি ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, মাতামুহুরীর নদীর দিগরপানখালী পয়েন্ট থেকে দীর্ঘদিন থেকে বালি উত্তোলন করে আসছে এক শ্রেণীর অবৈধ বালি ব্যবসায়ীর দল। এ সংবাদ পেয়ে শনিবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। এসময় ৫টি নাম্বারবিহীন ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করেছি। আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো বলেন,মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে করে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি থেকে শুরু করে নানা স্থাপনে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীতে তলিয়ে যায়। তাই যেকোন উপায়ে এসব অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে ছিলেন- উপজেলা টেকনিশিয়ান এরশাদুল হক, চকরিয়া থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
Posted ৫:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta