কক্সবাংলা ডটকম(২৪ জুন) :: জাদুকরের জাদুতে এখনও মরচে পড়েনি৷বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও ক্ষিপ্র হয়ে উঠছেন, বক্সের ভিতর বল পেলে কয়েক সেকেন্ডেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন৷তাঁর বল কাটানোর সক্ষমতার প্রশংসা করতে দিয়ে মারাদোনা বলেছিলেন, ‘বল তাঁর পায়ের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকে৷’
ডিফেন্ডাররা ধাক্কা মেড়ে মাটিতে ফেলে রক্তাক্ত করলেও মাথা গরম করেন না৷ ঠান্ডা মাথায় মাপা সেট পিসে গোল কিংবা শেষ মুহুর্তে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে জার্সি খুলে সেলিব্রেশনে মাতেন৷ তিনিই আবার ফিফার টুর্নামেন্টে পরপর তিনবার ফাইনাল হেরে যন্ত্রণায় বিদ্ধ হন৷
পেনাল্টি মিস করেই আজেন্টিনার জার্সি খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি ফুটবল দুনিয়ার লিওনেল আন্দ্রেস ‘জাদুকর’ মেসি৷ ৩০ এ পা রাখলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার৷ কিংবদন্তী এই ফুটবলারের জন্মদিন স্মরণে coxbangla.com৷
১৯৮৭ সালে ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি৷ ছোটবেলায় গ্রোথ হরমোনের ডেফিসিয়েন্সি৷ ডাক্তাররা তাই জানিয়েই দিয়েছিল ছোট্ট মেসির পক্ষে ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব৷ এরপরই মেসির ফুটবল কেরিয়ারের স্বার্থেই আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে বার্সেলোনায় পারি দেয় তাঁর পরিবার৷ বার্সেলোনা ক্লাব খুদে মেসির চিকিৎসার খরচ নেয়৷ অনেক ছোট থেকেই লা-মাসিয়া অ্যাকাডেমিতে শুরু হয় তাঁর ফুটবল প্রশিক্ষণ৷
১৬ অক্টেবর ২০০৪৷ এদিনই বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক৷ খুদে মেসির বয়স তখন ১৭ বছর ৩ মাস ২২ দিন৷ অভিষেকের সাত মাস পর ক্লাবের জার্সিতে প্রথম গোল পান এই ওয়ান্ডার কিড৷ ১ মে ২০০৫ ঘরের মাঠ ন্যূ-ক্যাম্পে আলবাকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রথম গোল৷ এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷
দেশের জার্সিতে ১৭ অগাস্ট ২০০৫ -এ অভিষেক৷ হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে সে ম্যাচে মাত্র ৯০ সেকেন্ড মাঠে ছিলেন ১৮এ তে পা দেওয়া মেসি৷ আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন৷ এরপর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি৷ ফিফা অনূর্ধ্ব২০ বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রাখেন৷
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ছয়টি গোল করে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন৷ নিল সাদা জার্সিতে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন৷ আজেন্টিনার শীর্ষ গোলদাতাও হয়েছেন৷ পাঁচবার ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’ওর জিতেছেন৷
মাইলস্টোনের পাশাপাশি বারেবারে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মেসি৷ ক্লাবের জার্সিতে সাফল্য পেলেও দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ দিতে পারেননি৷ ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হারের পর কোপা আমেরিকা’র ফাইনালেও পরপর দু’বার হার৷ তিন বছরে তিনটে ট্রফি হাতছাড়া৷
