হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১১ মে) :: টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়-টিলার পাদদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া পৌনে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভূমিকম্প, ভূমি ধ্বস, ঝড়-তুফান, অতিবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঝুঁিকতে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দমদমিয়া নেচার পার্কের সংরক্ষিত এলাকার পর হতে শুরু হয়ে জাদিমোরা, নয়াপাড়া সামাজিক বনায়ন দখল করে গড়ে উঠা, রেজিষ্ঠার্ড ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড় পর্যন্ত বায়োমেট্রিক ছাড়া ৫হাজার ও বায়োমেট্রিক-৬০হাজার, লেদার ও আলীখালী পাহাড়ে ৪৫/৫০ হাজার ও রইক্ষ্যং পুটিবনিয়ায় ৩০হাজার পাহাড়ের পাদদেশে বসতি গড়ে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা আসন্ন বর্ষায় ভূমিকম্প, ভূমি ধ্বস, ঝড়-তুফান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের ঝুঁিকতে রয়েছে।
১০মে সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া প্রবল ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে বড় ধরনের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারের উর্ধ্বতন মহল ঝুঁকিতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমতল ভূমিতে পূর্ণবাসনের ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করেছে। গৃহীত এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন বিলম্বিত আর সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষাকাল শুরু হলে আসন্ন পবিত্র রমজান মানে এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান জানান, সরকারের নির্দেশনার আলোকে উপজেলা প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের জনগোষ্ঠীকে সমতল ভূমিতে পূর্ণবাসনের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি আসন্ন বর্ষার পূর্বেই এই কার্যক্রম শেষ হবে।
Posted ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta