কক্সবাংলা ডটকম(৮ নভেম্বর) :: ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার জেরে দূরপাল্লা ও নগর পরিবহনের বাস ভাড়া গড়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রোববার সারাদিন বৈঠক শেষে ভাড়া বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের পর মহাদুর্ভোগের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বাস চলাচল শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা তিন দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান যাত্রীরা। একই দিনে প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা ভাড়া বাড়ানোর পর তুলে নেওয়া হয়েছে লঞ্চ ধর্মঘটও। রাতে লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়। তবে ডিজেলের দাম ও সেতুর টোল কমানোর দাবি না মানায় ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহনের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে।
চাপের মুখে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। যে হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, তার কঠোর সমালোচনা করেছেন নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্টজন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ও যাত্রী অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা। তারা মনে করেন, সিদ্ধান্তটি একতরফা। বরাবরের মতো যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবারও পরিবহন মালিকদের অন্যায্য চাপ মেনে নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের স্বার্থ গুরুত্ব পায়নি। সরকারের কিছু কর্মকর্তার হঠকারিতায় ডিজেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণকে এই দুর্ভোগের কবলে পড়তে হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর রাতে ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা লিটার করেছে সরকার। এর ফলে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শুক্রবার ভোর থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন মালিকরা। এর পর তিন দিন ধরে পথে পথে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অগণিত মানুষকে। এর সঙ্গে লঞ্চ ধর্মঘট যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি হয় শোচনীয়।
সংকট নিরসনে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বনানী কার্যালয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বাস মালিকদের পাঁচ ঘণ্টার এ বৈঠক শেষে বর্ধিত ভাড়া ঘোষণা করা হয়, যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বাস মালিকরা দূরপাল্লার রুটে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ৯ পয়সা এবং নগর পরিবহনে ২ টাকা ৪৯ পয়সা ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ডিজেলের দাম বাড়ায় জনমনে ক্ষোভ রয়েছে- এ যুক্তিতে মালিকদের দাবি অনুযায়ী সরকার ভাড়া বাড়াতে রাজি হয়নি। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও নির্দেশ আসে- ভাড়া বৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের কথা জানান। তিনি জানান, ৫২ আসনের ৩০ শতাংশ খালি থাকবে ধরে নিয়ে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে দূরপাল্লার অধিকাংশ বাসে আসনসংখ্যা ৪০ বা তার কম। নতুন হার অনুযায়ী ৪০ আসনের বাসের ভাড়া হবে কিলোমিটারে ২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৮৫ পয়সা। যাত্রীদের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আসন কমলে ভাড়া আরও বাড়বে। গতকাল রাতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনেও তা বলা হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের বড় বাসে ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। কিলোমিটারে বেড়েছে ৪৫ পয়সা বা ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ আসনে যাত্রী হবে ধরে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩১ আসনের কম, অর্থাৎ মিনিবাসের ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনেই বাস মালিকরা মিনিবাসের জন্য পৃথক ভাড়া নির্ধারণে আপত্তি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নগর পরিবহনের মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা এবং বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ দূরত্ব যা-ই হোক, ঢাকায় বাসে উঠলেই কমপক্ষে ৮ টাকা ভাড়া গুনতে হবে।
সিএনজি গ্যাসচালিত বাসের ভাড়া বাড়বে না বলে জানিয়েছেন নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ডিজেলের দাম কমলে, ভাড়া কমবে। ঢাকায় সিএনজিচালিত বাসের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, সিএনজিচালিত বাস ২ শতাংশেরও কম।
মালিকরা নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা আদায় করেন- এমন অভিযোগ বিষয়ে বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, সোমবার ভাড়ার নতুন তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। তা বাসে দৃশ্যমান স্থানে লাগাতে হবে। তালিকার বেশি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৫ পয়সা বাড়িয়ে কিলোমিটারে ১ টাকা ৪৫ পয়সা করা হয়। ২০১৬ সালে ডিজেলের দাম কমায় ভাড়া কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমানো হয়। ২০১৫ সালে নগর পরিবহনের বাস ভাড়া কিলোমিটারে ১০ পয়সা বাড়ানো হয়।
২০১৯ সালে বিআরটিএর ব্যয় বিশ্নেষণ কমিটি ২১টি ব্যয়ের খাত পর্যালোচনা করে দূরপাল্লার বাসে ২ টাকা ৭ পয়সা এবং নগর পরিবহনে ২ টাকা ২১ পয়সা ভাড়া নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব করেছিল। গতকাল বৈঠকে মালিকরা ওই প্রস্তাবের চেয়েও বেশি ভাড়া নির্ধারণের দাবি করেন।
বিআরটিএ এর জবাবে বলে, দুই বছর আগের খসড়ায় করণিক ভুল ছিল। তা সংশোধনের পর দূরপাল্লার বাসে কিলোমিটারে প্রস্তাবিত ভাড়া হবে ১ টাকা ৯৪ পয়সা এবং নগর পরিবহনে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। তবে এখনকার ভাড়া এর চেয়ে কম হবে।
বৈঠকে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বাস মালিকদের বলেন, ‘২০১৯ সালের প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। তাই মৃত ছেলের নাম রেখে লাভ নেই। নতুন করে ব্যয় পর্যালোচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।’ টেলিফোনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একই মনোভাব জানান।
নুর মোহাম্মদ বলেন, দূরপাল্লার ১৫টি খাত এবং নগর পরিবহনের ২০টি খাতের ব্যয় বিশ্নেষণ করে বাস পরিচালনায় প্রকৃত যে খরচ এসেছে, তার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে মালিকদের লোকসান না হয়; আবার যাত্রীদের ওপরও বাড়তি খরচের বোঝা না চাপে।
ব্যয় বিশ্নেষণে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার বাস এক লিটার ডিজেলে সোয়া তিন কিলোমিটার পথ চলবে। নগর পরিবহনের বাস চলবে আড়াই কিলোমিটার। এ হিসাবে ডিজেল বাবদ কিলোমিটারে দূরপাল্লার বাসে ২২ টাকা ৮৬ পয়সা এবং নগর পরিবহনে ৩২ টাকা খরচ হবে। যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে ডিজেল খরচ হবে যথাক্রমে ৬৩ পয়সা এবং ৮৮ পয়সা। এ ব্যয়কে যৌক্তিক বলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।
ব্যয় বিশ্নেষণে বলা হয়েছে, ৭৫ লাখ টাকার দূরপাল্লার বাস এবং ৩৫ লাখ টাকার নগর পরিবহনের বাস ১০ বছর চলবে।
তবে পরিবহন খাত-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, দূরপাল্লার গাড়ি গড়ে ১৫ বছর এবং নগর পরিবহনের বাস ২০ বছর চলে। ব্যয় বিশ্নেষণে বলা হয়েছে, মাসে ২৫ দিন বাস চললে মবিল, দুই ধরনের ফিল্টার পরিবর্তন ও গ্রিজিংয়ে ১১ হাজার টাকা খরচ হবে। প্রতি তিন মাসে একবার ক্লাসপ্লেট, চার জোড়া ব্রেক সু পরিবর্তনে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।
নগর পরিবহনে বছরে ১২টি টায়ার-টিউব পরিবর্তনে তিন লাখ ১২ হাজার টাকা এবং দূরপাল্লায় ১৪টি টায়ার-টিউব পরিবর্তনে বছরে চার লাখ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হবে। বছরে একটি ইঞ্জিন ওভারহোলিংয়ে আড়াই লাখ টাকা খরচ হবে।
ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেছেন, এসব খরচ যা দেখানো হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত। রক্ষণাবেক্ষণে এত টাকা খরচ হলে ঢাকার বাসগুলোর এমন লক্কড়ঝক্কড় দশা থাকত না।
অতিরঞ্জিত ব্যয় ধরে নির্ধারণ করায় ভাড়া বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সমকালকে বলেছেন, শুধু ডিজেলের দাম নয়, গত আট বছরের মূল্যস্ম্ফীতি হিসাব করলে আসলে ভাড়া বাড়েনি। আট বছরের আগের তুলনায় কমেছে। এ প্রশ্নে তিনি বলেছেন, পুনর্নির্ধারিত ভাড়া মালিকদের দাবির তুলনায় অনেক কম হলেও সরকার যা নির্ধারণ করেছে- তা মেনেই বাস চালাতে হবে।
লঞ্চের ভাড়া বাড়ল কিলোমিটারে ৬০ পয়সা: গতকাল বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া এক টাকা ৪০ পয়সা থেকে দুই টাকা করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি ১৮ টাকা থেকে ২৫ টাকা করা হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির হার ৩৫ থেকে ৪৩ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লঞ্চ মালিক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমসহ অন্য নেতারা। ভাড়া দ্বিগুণের দাবিতে শনিবার থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা। ভাড়া বাড়ানোর পর রোববার রাত থেকেই আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
পণ্যবাহী যানবাহন এখনও ধর্মঘটে: ভাড়া বৃদ্ধির পর লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু হলেও ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী যানবাহনের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ডিজেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও টোল না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পণ্যবাহী যানের মালিক-শ্রমিক নেতারা।
ট্রাক কাভার্ডভ্যান ট্যাঙ্কলরি প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী সমকালকে বলেছেন, বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাড়ালেও সরকার পণ্যবাহী গাড়ির বিষয়ে কিছুই করেনি। এখনও আলোচনার জন্য ডাকেনি। আজ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
বাংলাদেশ ট্রাক ড্রাইভার ইউনিয়নের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ মনির বলেছেন, শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পণ্যবাহী যানবাহনের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলবেন। মন্ত্রী এখন পর্যন্ত তাদের কিছু জানাননি। ডিজেলের দাম ও টোল না কমা পর্যন্ত তারা গাড়ি চালাবেন না বলে জানিয়েছেন।
ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাস ও লঞ্চের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে। ট্রাকের ভাড়ার ক্ষেত্রে তা হয় না। ট্রাক মালিকরা বছরের শুরুতেই ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করে পণ্য পরিবহন করেন। এজেন্সি বাড়তি ভাড়া দেবে না। ফলে একবার চট্টগ্রাম আসা-যাওয়ায় তিন হাজার টাকার বাড়তি ডিজেল লাগছে। লোকসান দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। সরকার যদি ডিজেলের দাম কিছুটা কমায়, তাহলে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
ভাড়া নৈরাজ্য: আজ সোমবার থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও গতকালই ঢাকা ও চট্টগ্রামের নগর পরিবহন এবং দূরপাল্লার যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়ে যায়।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বাস চলাচল শুরু হলে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আগে যে বাসের ভাড়া ১০ টাকা ছিল, সেখানে ১৫ টাকা নেওয়া হয়েছে। এভাবে সব রুটেই ইচ্ছা মাফিক বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রামে গতকাল সকাল থেকেই বন্দরনগরীতে বাস চালিয়েছে মালিকদের একাংশ। সেসব গাড়িতে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। বিকেলের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণপরিবহনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও কার্যকরের সময় হওয়ার আগেই নগর পরিবহনে ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়।
অন্যদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়ে যায়। এদিন রুট ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। রোববার গাড়ি চালানো শুরুর পর ৫০-৬০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আহমদ।
Posted ১২:০৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৮ নভেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta