বিশেষ প্রতিবেদক,নাইক্ষ্যংছড়ি(১১ নভেম্বর) :: নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়িতে অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলনের দায়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশরাফের নেতৃত্বে ৪ সদস্য ১১ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ২৬৯ নং সোনাইছড়ি মৌজার খালের মাইছকুম ঝিরিতে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৪০ ট্রাক পাথরের জব্দ তালিকা করেন।
জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে বাহান মার্মার নেতৃত্বে সেনাইছড়ি খালের মাছকুম নামক সরকারি বনাঞ্চলের ঝিরি ও পাহাড় থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে চেয়ারম্যানের ছেলে মং নাইচউ মার্মা ও মেয়ের জামাইসমহ এলাকার আরো একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বাহান মার্মার ও তার ছেলের নেতৃত্বে প্রতিদিন স্থানীয় ১০/১২ জন শ্রমিক দিয়ে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ঝিরি-পাহাড় কেটে ও মাটি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করছে। পাথর পাচারের জন্য পাশাপাশি পাহাড় কেটে বিরাট রাস্তা তৈয়েরি করেছে।
স্থানীয় আবদুল মাবুদ থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান চেয়ারম্যান ও তার ছেলের এবং মেয়ের জামাইর নিদের্শে শ্রমিকেরা পাথর উত্তোলন করছে দৈনিক মজুরিতে বলে জানান। দীর্ঘদিন এভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে ঐসব পাহাড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পাহাড় ধসে পড়া ও ঝিরিগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিরি এবং পাহাড়ের আনাচে-কানাচে, গভীর জঙ্গলে টিলা খুঁড়ে অথবা পাহাড়ের উপত্যকায় সমতল মাটিতে গভীর গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত পাথরগুলো সেখানে ভাঙা হচ্ছে এবং ট্রাক-পিকআপ করে উখিয়া উপজেলা মরিচ্যা বাজারের পূর্ব পাশে পাতার বাড়ি এলাকায় নব নির্মিত বিভিন্ন ব্রীজের কাজের জন্য ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছে।
পাথর উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন কোনো ধরনের প্রতিবাদ করতে পারচ্ছে না। পাথর উত্তোলনকারীদের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না সোনাইছড়ি ইউনিয়নের অনেকের ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানও। অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবেশবাদী ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পাথর উত্তোলন ও পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহান মার্মা’র মুঠোফোনে (নং ০১৮২৪-৯৩০৯৫১) কল করলে ফোন রিসিভ করেনি। বাহান মার্মা’র ছেলে মং নাইচউ এর মুঠোফোনে (নং ০১৬২৮-৭০৮০৬৬) এ কল তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান সাইফুল আশ্রাব জানান, পাথর উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জনান, চেয়ারম্যান ২৭২জারুলিয়া মৌজার জারুলিয়া ছড়ার জন্য আবেদন করেছিল, এখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি, পাথর উত্তোলন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৬৯ নং সোনাইছড়ি মৌজার মাইছকুম ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন বিষয়ে জানান ওখানে কোন অনুমতি নেওযা হয়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আনোয়ার হোসেন জানান, পাথর উত্তোলনের বিষয় টি আগে আমি জানিনা, আমি নতুন যোগদান করেছি,বিষয় টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।