নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৮ জানুয়ারী) :: পেকুয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।
(শুক্রবার) ১৮ জানুয়ারী চেয়ারম্যান পদে এ প্রার্থী আনুষ্টানিক প্রচারনায় নেমেছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়ার গণমানুষের এ নেতা ভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্বাচনী মাঠে তৈরী হয়েছে প্রানান্তকর পরিবেশ।
হঠাৎ ভোট করার তার এ সিদ্ধান্ত পেকুয়ায় চাউর হয়। এ সময় তার রাজনৈতিক বলয় যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দল আ’লীগে শ্বাস শ্বাস তৈরী হয় রব। তৃণমুলে তার ভোট করার এ খবর পৌছে।
এ সময় রাজনৈতিক অঙ্গন ও ভোটারদের মধ্যে নতুন করে সমীকরন দেখা দিয়েছে। পেকুয়ার রাজনীতিতে জাহাঙ্গীর আলম একটি পরিচিত নাম। তার পরিচিতি পেকুয়ায় অত্যন্ত সুদুর প্রসারী। মাটি ও মানুষের সাথে তার মমত্ববোধ প্রকট।
উপজেলায় রাজনীতিতে তিনি একটি উজ্জল নক্ষত্র। বৈপ্লবিক পরিবর্তনে তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। রাজনীতিতে তার নিজস্ব বলয় ও ভোট ব্যাংক আছে।
তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন এ খবর জানাজানি হয়। এ সময় শত শত নেতা-কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে আনন্দভাব ও উৎফুল্ল দেখা দেয়। তার রাজনৈতিক অর্জন ব্যাপক। পাশাপাশি শিক্ষা প্রসার ও সমাজ গঠনেও দৃষ্টি মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে জেলা পরিষদ আইন পাশ হয়।
প্রত্যক্ষভোটে তিনি বিপুল ভোটে পেকুয়া থেকে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ছিলেন প্রায় ডজন খানেক। এরই মধ্যে নিকটতম প্রার্থী ও তার ভোটের ব্যবধান ছিল পাহাড়সম। এতে করে তার প্রাণ ও কর্মচাঞ্চল্য আরও বেগবান হয়।
জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় তার প্রধান কাজ ছিল। সামাজিক অবক্ষয় হ্রাস পেয়েছে। জুলুম অবিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রাধান্য ছিল তার বিচার ব্যবস্থায়। পাশাপাশি ওই দপ্তর থেকে করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন। গ্রামীণ অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট সংষ্কার হয়েছে বেশী।
জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের দায়িত্বে আসীন হয়েছেন প্রায় দুই যুগ। ছাত্র রাজনীতি থেকে তার উত্তান। উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যতম নীতিনির্ধারক ছিলেন।
এরপর দুই মেয়াদে যুবলীগ কমিটিতে তার ঠাই হয়েছে। প্রথম দাপে ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। বর্তমান কমিটিতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। ছাত্রলীগ জিএমসির সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, সাতকানিয়া সরকারী কলেজে প্রচার সম্পাদক ছিলেন, ৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ পেকুয়ার সাংগঠনিক উপজেলার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন, ২০০৩-০৪ সাল পর্যন্ত আ’লীগ পেকুয়া উপজেলার প্রচার সম্পাদক ছিলেন, ২০০৫ সালের দিকে সদর ইউনিয়ন আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
তিনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন পেকুয়ার সভাপতি, পেকুয়া জি.এম,সিতে শিক্ষানুরাগী, পেকুয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি, পেকুয়া আদর্শ মহিলা মাদ্রাসায়ও শিক্ষানুরাগী, মগনামা শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষানুরাগী, পেকুয়া শাহ জমিরিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক, সভাপতি, মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পেকুয়া, সাধারন সম্পাদক, পেকুয়া উপজেলা ডাম্পার মালিক সমিতি, প্রধান পৃষ্টপোষক, পেকুয়া বাজার গাছ ব্যবসায়ী সমিতি, প্রধান উপদেষ্টা, পেকুয়া চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতি, স্বত্তাধিকারী, মোহাম্মদীয়া এন্ড শাহ জমিরিয়া ফিশিং, উপদেষ্টা, শেখেরকিল্লাঘোনা জামে মসজিদ ও এতিমখানা, সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কক্সবাজার, উপদেষ্টা. পেকুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি।
তিনি রাজনীতি ও জনহিতকর অনেক গুরু দায়িত্ব উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে নিজকে মেলে ধরেছেন। পেকুয়ায় গণমানুষের নেতা জাহাঙ্গীর আলম।
Posted ৯:৩৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta