নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(১৯ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় গ্রামের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে নিহত মানিকের মরদেহ। লাশ উদ্ধারের ২৫ দিন পর অবশেষে নিহত মানিকের লাশ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়িতে।
লাশ উদ্ধার হওয়ার পর সুরত হাল রিপোর্ট শেষে কক্সবাজার সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করে। বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে স্থানান্তরিত করা হয়। তারা লাশটি মাটি চাপা দেয়। লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর লাশটি সনাক্ত হয়েছে।
এ সময় উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা ঠান্ডারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের স্ত্রী জিগারা বেগম থানায় উপস্থিত হন। এ সময় উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাহাড়িয়াখালী জড়পাথর নামক বিল থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি তার ছেলে মানিকের বলে পুলিশকে নিশ্চিত করেছে।
২ দিন পর লাশের ডিএনএ টেস্ট ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক মাটি চাপা দেওয়া লাশ কবর থেকে উত্তোলন পূর্বক পরিবারের নিকট হস্তান্তর করতে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করে।
নিহত মানিকের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন। এমনকি তারা হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদের মামলায় অন্তর্ভূক্ত করতে আদালতে সম্পুরক এজাহার দায়ের করে। আদালত বাদীর আনিত বিষয় গ্রহন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে আইনী সহায়তা দিতে পুলিশকে আদেশ দিয়েছে। অবশেষে লাশ উদ্ধারের ২৫ দিন পর গতকাল রবিবার মানিকের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওই দিন বিকাল ৪ টায় লাশ গ্রামে পৌছায়।
বিকেল ৫ টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান সোনালী বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহত মানিকের ভাই মামলার বাদী উপজেলা সৈনিক লীগের প্রচার সম্পাদক হারুনুর রশিদ জানায়, ঘাতকরা আমার নিষ্পাপ ভাই মানিককে নির্মম ও নিষ্টুরভাবে খুন করেছে। তারা আমার এক ভাইকে মিথ্যা মামলায় দু’বছর ধরে কারাগারে পৌছায়।
এরপর আমার ভাই মানিককে খুন করেছে। আমার পরিবার খুনীদের কাছে অনিরাপদ। খুনীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। তারা ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ আসামীদের না ধরছে। আমরা আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। খুনীরা অধরা রয়ে গেছে। তারা আরো বেপরোয়া হচ্ছে।
Posted ১০:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta