নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৫ মে) :: পেকুয়ায় চাঁদাবাজির সত্যতা পেল পেকুয়া থানা পুলিশ। রমজানকে ঘিরে পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে দৌরাত্ম বেড়েছে চাঁদাবাজ চক্রের। ঈদের পূর্বে প্রতি বছর পেকুয়ার এ প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্রে চলতে থাকে চাঁদাবাজি।
প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় একটি সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে বাধ্য করে। এতে করে তারা প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা এ বাজার থেকে হাতিয়ে নেয়।
বুধবার ২৩ মে সকালে পেকুয়া বাজারে চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদির দোকানী ও শেখের কিল্লাঘোনার মৃত সাচি মিয়ার পুত্র নাছির উদ্দিনের বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় তুমুল হট্রগোল দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে চাঁদার দাবীতে ব্যবসায়ীদের গালমন্দসহ দোকান তালা মেরে দেওয়ার হাকাবকা ও হুমকি দেয়। এ সময় পেকুয়া বাজারের মুড়ির গলির প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিক ও কর্মচারীরা জড়ো হয়।
এ সময় তারা নাছির উদ্দিনকে ধাওয়া দেয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফের ওই ব্যক্তিসহ তার অনুগত কয়েকজন মাস্তান প্রকৃতির লোকজন পেকুয়া বাজারে মুড়ির গলির মুদির দোকানে গিয়ে প্রকাশ্যে হাকাবকা করে।
নাছিরকে টাকা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেয়ার হাকাবকা করে। টাকার জন্য আল্টিমেটাম দেয়। অন্যতায় মালামাল ছুড়ে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা ফের ঐক্যবদ্ধ হন। তারা বিষয়টি পুলিশসহ প্রশাসনকে অবহিত করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানার এস,আই সুমন সরকার পেকুয়া বাজারের মুড়ির গলিতে যান। এ সময় ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে নাছিরের চাঁদাদাবীর কথা প্রকাশ্যে জানায়।
ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানায়, আমরা নাছিরের এ সব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট। প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে ঘিরে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। নজরুল নামের মুদির দোকানদার জানায়, যুবলীগ সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে নাছির চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত। তার আচার আচারন হিংস্র।
মানুষকে লাঞ্চিত ও মারধর করতে তার হিংস্রভাব প্রকাশ পায়। দোকান মালিক আসাদুল হক চৌধুরী জানায়, মানুষ এ ভাবে হলে ব্যবসা করবে কিভাবে। পুলিশ ব্যবসায়ীদের কথা শুনেছেন। এস,আই সুমন বলে দিয়েছেন, আর একবার এসে এ ভাবে চাঁদা দাবী করলে পিটিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দিতে।
ইমরান, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল কায়ুম সহ মুিদর দোকানীরা জানায়, পুলিশ এসে স্বচোখে দেখতে পেয়েছেন চাঁদাবাজির বিষয়টি। ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট বলে দিয়েছে নাছির প্রতি বছর চাঁদা নেয়। আমরা হাজার হাজার টাকা এদের চাঁদা দিয়েছি। বস কে সেটি প্রশাসন জানে।
গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান করলে পেকুয়া বাজারের প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে। ব্যবসায়ীরা অসহায়।
পেকুয়া থানার এস,আই সুমন সরকার জানায়, ব্যবসায়ীরা আসলে এদের ভয় পায়। তারা না বলতে সংকোচ বোধ করে। আমি বলে দিয়েছি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে। আর এ রকম করলে পিটিয়ে আধামরা করে পুলিশে দিতে।
Posted ১:১২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৬ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta