নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৮ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় প্রবাসীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দু’স্কুল ও মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রিজার্ভ সম্পত্তি নিয়ে তিন আপন সহোদরের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে আপন ভাই ও ভাইয়ের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন বড় ভাই।
অপরদিকে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে অপর আরেকটি মামলা করেন তার গর্ভধারনী বৃদ্ধা মা। মামলা, হামলা ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে আপন ভাইদের বিরোধ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আধিপত্য নিতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করার খবর পাওয়া গেছে।
পেকুয়া থানা পুলিশ গত ২০ দিনের ব্যবধানে অন্তত কয়েক দফা ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি রমিজপাড়া এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, রমিজপাড়া এলাকার মৃত শের আলীর ছেলে মনজুর আলমের সাথে তার অপর দুই ভাই ফজল কবির ও নুরুল কবিরের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১৯ বছর আগে রিজার্ভ জমি বিক্রি ও বন্ধকী নিয়ে মনজুর আলমের সাথে ছোট ভাই ফজল কবিরের বিরোধ দেখা দেয়। সে সময় একটি হত্যা মামলায় আসামী হন মনজুর আলম। আর্থিক সংকটে রিজার্ভের মনজুর আলমের ভোগ দখলীয় ৭০ শতক জায়গা হস্তান্তর করেন ফজল কবিরকে। ওই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বর্তমানে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
মনজুর আলম জানায়, ওই জমি তিনি ছোট ভাইকে বন্ধক দিয়েছেন।
অপরদিকে ফজল কবির জানায়, জমি তাকে নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প মুলে চিরতরে বিক্রি করে দিয়েছে। সম্প্রতি বিক্রি ও বন্ধকী নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে ১৫ অক্টোবর সকালে মারপিট হয়। এ সময় মনজুর আলম ও তার ছেলে সৌদি প্রবাসী মৌলভী ওসমান গণি আহত হন।
১৭ অক্টোবর পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-১১/১৭। ওই মামলায় মনজুর আলম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে। মামলায় দুই শিশুকেও জড়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ফজল কবিরের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ ৭ম শ্রেনীর ছাত্র।
এ ছাড়া নুরুল কবিরের ছেলে সাইফুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে। সাইফু বটতলী শফিকিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ও ইউসুফ ইক্বরা স্কুলের ছাত্র।
অপরদিকে মনজুর আলমের বিরুদ্ধে তার মা মোস্তফা খাতুন(৮০) মামলা করেছেন। খরপোষ ও অবাধ্য সন্তানের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছেন।
মনজুর আলমের ভাই ফজল কবির জানায়, আমি প্রতিবন্ধী। আমার ছেলে শাহাদাত হোসাইন মরিশাস থেকে এসেছে। আমরা এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করেনি। মনজুর আলম একজন মামলাবাজ। তার ছেলেকে জখমী দেখিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। ছেলে দুইদিন পর সৌদি আরবে চলে যায়। তারা জঙ্গী তৎপরতার সাথে লিপ্ত।
অপরদিকে মনজুর আলম জানায়, তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী। সে দিন আমি ও আমার দুই ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তারা আমার বিপুল জমি দখল করার চেষ্টা করছে। যে কোন মুহুর্তে আমাকে প্রাণনাশ ঘটাতে পারে। পিতার বসতবাড়ি আমি নির্মাণ করেছি। এখন আমাকে দেশ ছাড়া করার পরিকল্পনা করছে। পুলিশ এসেছে আমি জানমালের শংকায় ভোগছি।
Posted ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta