নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: পেকুয়ায় মহিলাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় দুবৃর্ত্তরা ওই নারীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েও সর্বশরীরে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
২৬ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী গ্রাম আবাদিঘোনায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মহিলার নাম লায়লা বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন সকাল ১১ টার দিকে গৃহবধূ লায়লা বেগম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে ছনখোলারজুম ষ্টেশনের মুদির দোকানে যান। দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে তাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জুবাইদা বেগম জানান, লায়লা বেগম আমার নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী হন। ছনখোলারজুম ষ্টেশন থেকে বাজার করে বাড়ি আসার পথে আবাদিঘোনা সোহেলের বাপের বাড়ির সামনে তাকে হামলা চালানো হয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবাদিঘোনার রবিউল আলম, তার ভাই শফিউল আলম, বাদশাহ মিয়া, ভারুয়াখালীর নেজাম উদ্দিন, জয়নাল, সালাহ উদ্দিনসহ ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা কিরিচ ও হাতুড়ি দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে। লায়লা বেগমকে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। তার একটি হাতের কব্জি কেটে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জয়নাব বেগম, শাকেরা বেগম ও তোফাজ্জল করিমসহ আরো অনেকে জানান, আবাদিঘোনায় রিজার্ভ জায়গা নিয়ে লায়লা বেগমের নিকট আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন গং ও মজুর ছেলে রবিউল আলম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর সুত্র ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে গত বছর দু’য়েকের ব্যবধানে ৫/৬ টি মামলা হয়েছে।
মূলত ওই শত্রুতার জের ধরে লায়লা বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ছনখোলারজুম ষ্টেশনে দু’পক্ষের মারপিট হয়। বারবাকিয়া ইউপির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মামলা নিয়ে পলাতক রয়েছে। তিনি বিকাশে টাকা পাঠাতে মৌলভী একরামের দোকানে যান। তাকে দেখামাত্র রবিউল আলম গং দা, কিরিচ নিয়ে হামলা চালায়। জাহাঙ্গীর মেম্বারকেও ওই দিন কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পিছুন দিক থেকে এসে মেম্বারকে এলোপাতাড়ি কুপানো হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta