নাজিম উদ্দিন.পেকুয়া(১৮ নভেম্বর) :: পেকুয়ায় ভাংচুর করা হয়েছে শুটকি মহাল। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন শুটকি মহালে ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়।
১৮ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানার এস,আই কিশোর বড়–য়া ভাংচুরের বিষয়টি নাকচ করেছেন।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পক্ষ বিরোধপূর্ণ জায়গাটি দখল করতে ঘিরা বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুলিশ উত্তেজনা প্রশমিত করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছে।
এদিকে ২ একর ৪০ শতক জমি নিয়ে রাজাখালী ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরীপাড়া এলাকায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত এ জায়গার আধিপত্য নিতে দুটি পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকমাস ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ছনুয়া নদীর জেগে উঠা চরের ২ একর ৪০ শতক জায়গা নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। একদিকে পাউবো মালিক অপরদিকে সরকারের ডেপুটি কমিশন ভূমি দুই মালিকানা ভূক্ত জায়গা নিয়ে সংঘাত দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ৩০ বছর আগে থেকে ওই জায়গা উৎপাদন উপযোগী হয়। শুষ্ক মৌসুমে এ জমিতে লবণ চাষ হয়ে থাকে। অপর অংশতে সামুদ্রিক মৎস্য প্রকিয়াজাতকরন কাজ চলমান থাকে। শুটকি মহাল আছে এ জমিতে।
জানা গেছে, সরকারের এ জায়গা ভোগ দখল ও আধিপত্য নিতে স্থানীয় মেহের আলী সিকদারের ছেলে নুরুল আমিন, জহিরুল ইসলাম মাতবর ও দিদারুল ইসলাম গং দের সাথে একই এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে নুরুল হোসাইন, মৃত মোহাম্মদ শরীফের ছেলে জালাল উদ্দিন, আহমদুর রহমানের ছেলে বদিউল আলম, ছৈয়দ আহমদের ছেলে আবুল কালাম গংদের বিরোধ দেখা দেয়।
তারা উভয়পক্ষ জমি সরকার থেকে ইজারা নিতে আবেদন করেছে। বিষয়টি যাচাই বাছাই সহ অনিষ্পত্তি রয়েছে। জালাল উদ্দিন, নুরুল হোসাইন গং ওই জমিতে শুটকি উৎপাদন করছে। তারা জায়গায় দখল প্রতিষ্টা করেছে। ঘেরা বেড়া দিয়ে জমির নিয়ন্ত্রন নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, নুরুল আমিন গং এ জায়গা উৎপাদন উপযোগী করে।
তারা ৩০ বছর ধরে দখলে ছিলেন। তবে তাদের বিশাল জায়গা সম্পদ রয়েছে। অন্যদিকে আবুল কালাম কালু, নুরুল হোসাইন, বদি আলম ও জালাল উদ্দিন গং বঞ্চিত জনগোষ্টী। তারা অতি দরিদ্র ও নি:স্বার্থবান। সাগর থেকে মৎস্য আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তারা জমি দখল নিয়েছেন। বসতবাড়িও বেড়িবাঁধের নিকট তৈরী করেছে।
ওই দিন দুপুরে নুরুল আমিন ও দিদারুল ইসলাম গং মৎস্য মহালে হানা দেয়। তারা ওই জায়গা থেকে বদি আলম গংদের উচ্ছেদ করতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে। এমনকি পুলিশ নিয়ে যায় ওই স্থানে। এ সময় দিদারুল ইসলাম গং শুটকি মহালে ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়।
এ ব্যাপারে বদি আলম ও আবুল কালাম জানায়, তারা সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদেরকে নির্যাতন করতে মহালে হানা দেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুর চালায়। ভাড়াটে লোকজন কোড়াল, দা, কিরিচ নিয়ে আক্রমন করে। আমরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের কথামত এসেছে। পুলিশের সামনে ভাংচুর করেছে তারা। পুলিশ নিজেরাও ঘেরা বেড়া উপড়ে ফেলে।
নুরুল আমিন জানায়, এ জায়গা ৩০ বছর ধরে আমরা ভোগ করছি। লবণ প্রস্তাবের জন্য প্রস্তাবনা প্রেরন করা হয়েছে। তারা সন্ত্রাসী নিয়ে জবর দখল করার পায়তারা করছে। পুলিশ শান্তি প্রতিষ্টা করতে গিয়েছিল। না হয় তারা আমাদের আক্রমন করত।
Posted ৬:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta