কক্সবাংলা ডটকম(২৫ আগষ্ট) :: বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করছে ক্ষমতাধর দেশগুলো। চলছে ভয়ঙ্কর সব মহড়া আর পাল্টাপাল্টি হুমকি। তারই জের ধরে এবার রাশিয়ার সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছে ভারত।
চুক্তির আওতায় রয়েছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। চলতি বছরের শেষের দিকেই ভারত-রাশিয়া চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
চুক্তি চূড়ান্ত হলে রাশিয়ার পাঁচটি অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম পাবে ভারত।
এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের পরমাণু বোমা বহনকারী যুদ্ধবিমান, স্টেলথ ফাইটার জেট, গোয়েন্দা বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শুধু শনাক্তই করতে পারে না, ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সেগুলো ধ্বংসও করতে পারে।
এ ব্যাপারে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তাদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হবে খুব তাড়াতাড়ি।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করতে চায় ভারত।
এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি মধ্যম মানের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রেরও মোকাবিলা করতে পারবে এস-৪০০ ট্রিয়াম্ফ।
ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ের সময়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিথার নাওয়ার্ট। তিনি জানান, রুশ এস-৪০০ মার্কিন মিত্র দেশগুলো কেনার বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন।
এর আগে, রুশ রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রফতানিকারক সংস্থা রোসোবোরোনএক্সপোর্ট জানিয়েছে, আগামী বছর থেকে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্কে রফতানি করার কাজ শুরু হবে।
এস-৪০০ কেনার জন্য রাশিয়া এবং তুরস্ক ২০১৭ সালে একটি ঋণচুক্তি সই করেছিল। এস-৪০০ কেনার জন্য এ চুক্তি অনুযায়ী আংকারাকে সহায়তা করবে রাশিয়া। অবশ্য এ চুক্তি করার পর ওয়াশিংটনের ক্রোধের মুখে পড়েছে আংকারা। এ ছাড়া, ভারত এস-৪০০ কেনার চুক্তি করবে বলে আগে জানানো হয়েছে।
পরবর্তী প্রজন্মের বিমান প্রতিরক্ষা হিসেবে পরিচিত এস-৪০০ দিয়ে ৪০০ কিলোমিটার বা আড়াইশ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে উড়ন্ত যে কোনো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা সম্ভব।
Posted ১:১৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta