কক্সবাংলা ডটকম(২৯ জুন) :: পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ভয়াবহ লঞ্চ ডুবি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীতে দুটি লঞ্চের ধাক্কায় মৃতদেহের স্তূপ বলে দিচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নৌ দুর্ঘটনার সর্ববৃহত।
সোমবার সকালে এই দূর্ঘটনার পর ক্রমাগত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ ৩০ জনের দেহ মিলেছে। তবে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছে নৌ পরিবহণ বিভাগ ও উদ্ধারকারীরা।
বুড়িগঙ্গার জল থেকে মৃতদেহ তুলে পাড়ে রাখা হয়েছে। সারি সারি দেহ পড়ে সেখানে। ডুবে যাওয়া লঞ্চে কতজন যাত্রী ছিলেন তার হিসেব নেই।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল ৫০-৬০ জন। কিন্তু পরে জানা যাচ্ছে দেড়শোর বেশি যাত্রী নিয়েই ডুবেছে লঞ্চ।
করোনার ভয়াবহ হামলার মাঝেই লকডাউন তুলে নেওয়ার পর নতুন করে যাত্রী সমাগমে ভরপুর ঢাকার সদরঘাট ও অন্য়ান্য় যাত্রী পরিবহণ ঘাটগুলি। বাংলাদেশ নৌ পরিবহণ মন্ত্রক ও সদরঘাট জেটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কাছে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামে লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চ বহু যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের লালকুঠি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কিছু দুটি লঞ্চের ধাক্কা লাগে। অন্য লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে আসছিল।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর অনেক যাত্রী সাঁতরে পারে ওঠেন। তবে কত যাত্রী নিখোঁজ তা নিশ্চিত নয়।
উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, পরপর মৃতদেহ তুলে আনা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা থেকে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম মর্নিং বার্ড। এটি একটি ছোট আকারের লঞ্চ।
সোমবার সকালে স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার দিকে ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামের একটি ছোট লঞ্চ ঢাকায় আসছিল। শ্যামবাজার এলাকায় চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। এ সময় মনিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
Posted ৪:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta