বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দেশে বড় ঘটনাগুলোতে এই পর্যন্ত পুলিশ যত গ্রেপ্তার করেছে তারা সবাই পাগল, ভবঘুরে। কিন্তু এই পাগলের পেছনে কে? তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে নিজের বাসভবনে স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে এরইমধ্যে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইকবাল পাগল, খাবারের লোভে সব করতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চকবাজারের চন্দনপুরা এলাকায় রানা দাশ গুপ্তের বাসায় যান নওফেল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষাপটের মধ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্তের সঙ্গে বৈঠক তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নওফেল বলেন, শুধু প্রশাসন দ্বারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না। এটি বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবীর বাস্তবতা। আমরা একটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলনের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির সমাবেশ ও মিছিল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সাংগঠনিভাবে দল মাঠে নেমেছে।
তিনি বলেন, সরকার শতভাগ তৎপর আছে। কোনোভাবেই বলতে পারব না যে, অবহেলা আছে। শতভাগ সচেষ্ট আছি। ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগের ঘটনাগুলোতেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রানা দাশ গুপ্ত একজন আইনজীবি, তিনি জানেন বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা-তো আছেই। বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২১ বছরের পরে।
নওফেল আরও বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেদিনও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারবে না। বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, বাংলাদেশ আমার আপনার সবারই। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে মনে করে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কারণ নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। সেই লক্ষে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। সব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা যদি না থাকে তাহলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি বজায় রাখা কঠিন। তাঁকে আশ্বস্ত করেছি, আমরা সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখবো। এই জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে জানতে রানা দাশ গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি যে দেশে সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করতে চাচ্ছে সেটি শিক্ষা উপমন্ত্রীকে বলেছি। সাম্প্রতিক ঘটনা ছাড়াও এই সরকারের আমলে সব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো যাতে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় সে ব্যাপারে বলেছি। তিনি বলেন, এখনও দেশে জিন্নাহর সংবিধান আছে। কারণ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এখনও বিদ্যামান। আমরা ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে চাই।
Posted ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta