সরওয়ার কামাল,মহেশখালী(১৬ আগষ্ট) :: মহেশখালীতে প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। তিনদিনের বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে মহেশখালী অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল।
উপজেলার প্রায় ১০টি গ্রাম এখনও পানির নিচে। এরই মধ্যে অনেকের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পানি ঢুকে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়া যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম জনতাবাজার -গোরকঘাটা সড়কে অসংখ্যা গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বাসিন্দাদের বাসস্থান, খাদ্য ও নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট শুরু হয়েছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে থেমে থেমে তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে মাতারবাড়ী -ধলঘাট নিচু এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে সর্বাধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁচা বাড়িঘর, ফসলি জমি ও মিষ্টি পানের বরজ।
মহেশখালী উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে মাতারবাড়ী-ধলঘাটা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আংশিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে আমার এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে লোকজন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ বিষয়ে অনেকবার জোরালো আবেদন করা হলে মুখে আশ্বস্ত করলেও কাজের কাজ কিছু করেনা।
তিনি আরো বলেন, বৃষ্টির পানি নিচে নামতে না পারায় আমার এলাকার মেরামতকৃত অসংখ্যা গ্রামীণ সড়কে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
Posted ৮:৫৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta