কামরুল হাসান(১৮ ডিসেম্বর) ::
————————-
গতরাত বারোটা এক মিনিটে,
স্বপ্নতরী জলহাওয়াতে ভেসে যায়।
সোনালু বৃক্ষের হলুদ ঝুমকায়,
ভেসে ভেসে হাসে শহীদ ইলিয়াস মাষ্টার।
শহীদ জাফর তখন পুষ্পপাতে,
ফরহাদ আর সুভাসের সাথে-
স্বপ্নমননে হয়েছিল দেখা।
বসেছিলাম,ফুলেল দোলখায় আড্ডায়।
কোরাস কন্ঠে বলেছে তারা চাটগাঁইয়ায়,
‘গুরাফুতুইন্যা আঁয়ারা হন বিচার ন-পাই’।
হঠাৎ কান্না-আটকানো কন্ঠে সুভাষ বললো,
তোমরা আমার লাল সবুজের ভাই-
বং-প্রজাতির কি কোন সম্ভ্রম নাই?
তখনো আমি অস্ত্র হাতে তোলে নি নাই।
তবে পুষ্পিতাকে ধর্ষিতা হওয়া থেকে বাঁচাতে,
এসেছিলাম কস্তুরা ঘাটে নৌকায়।
হটাৎ কুইচ্যা মুইচ্যার পুত আমাকে দেখতে পায়,
ভেতরে বিদ্যুৎ বেগে চিং করে উঠে কলিজায়-
থর্-থর্ থর্-থর্ থর্-থর্ থর্-থর্…..।
কেউটের কন্ঠে বললো সে-
‘ঐ যে মালাউন,পতাকা পুড়ানিয়া মুক্তি’।
প্রাণ ভয়ে চিৎকার করে বললাম,
‘আমি পতাকা পুড়াই নাই’।
দুমরিয়ে মুচরিয়ে তড়পাতে তড়পাতে,
আমার হাত দু-খানা দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে-
পেছনে নিয়ে গিয়ে-
জোড় হাত ধরে কাঁদের উপরে তোলে
ধুপিদের কাপড় ধোয়ার মতো
রাস্তায় আমাকে মারলো সজোরে আঁছাড়।
একটি আর্তচিৎকার,’অ-ম
ফিনকি দিয়ে রক্ত উড়ে,
ফুটলো আমার মাথা।
বিকট একটি শব্দ! তারপর সব নিস্তব্দ।
খন্ডিত মগজগুলো লা-ফা-তে লা-ফা-তে,
নিথর হয়ে যায় স্তরে স্তরে।
দইজ্যার গইর সোনালীবীর্য ভাসাই,
স্বাধীনতার আশায়।
মৃত্যুর আগে বলেছিলাম আমি,
যদি অপরাধ করি-আত্মপক্ষের সুযোগ চাই।
তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে দেয় নাই।
এখন তোমরা তাদের গাড়ীতেই তোলে দাও পতাকা,
আবার কেউ কেউ বসাও পুলিশি পাহারা।
অথচ শহীদ জননী খায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা,
এই কলঙ্ক রাখি কোথায়?এই কলঙ্ক রাখি কোথায়?এই কলঙ্ক রাখি কোথায়?
প্রজন্ম’৭১,রক্ত
গর্জে উঠো লাল সবুজের রোশনায়।
বলো,এই বাংলায় যুদ্ধাপরাধীর কোন ঠাঁই নাই।
আমারা প্রজন্ম’৭১,
আমরা খুনিদের শুধু ফাঁসি চাই।
যুদ্ধাপরাধীর শুধু মৃত্যু চাই,
তা নাহলে রক্তের প্রতিশোধ নেবো রক্তে-
আরেক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
মুক্তিযুদ্ধ ফিরে ফিরে ডাকে,
যুগে যুগে বাঙালির বাঁকে।।
Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta