কক্সবাংলা ডটকম(২১ মে) :: শ্রীকৃষ্ণ এবং দেবাদিদেব মহাদেবের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল তা কি আপনি জানেন? অনেকেই হয়তো এই কথাটি জানেন, কিন্তু জানেন না হয়তো ঠিক কোন কারণে হয়েছিল এই যুদ্ধ৷ দেবতাদের মধ্যের এই যুদ্ধের কারণই এবার রইল আপনার জন্য-
আসলে শ্রীকৃষ্ণ-মহাদেব যুদ্ধ অসমের এক প্রচলিত কিংবদন্তি৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে অসমের তেজপুর নগর৷ শোনা যায়, এই তেজপুরে একসময় বাণ নামক এক শিবভক্ত অসুরের রাজত্ব ছিল৷ তাঁর কন্যা ছিলেন ঊষা, যার সৌন্দর্য ছিল নজরকাড়া এবং ঈর্ষনীয়৷
ঊষাকে সুরক্ষিত রাখতে বাণ রাজা অগ্নিগড় নামক অগ্নি দ্বারা আবৃত এক দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করেন৷ এই ঊষা এক রাতে স্বপ্নে এক সুদর্শন যুবকের দেখা পেয়ে তাঁকে ভালোবেসে ফেলেন৷ তাঁর স্বপ্নে দেখা পুরুষকে চিত্রে তুলে ধরেন তাঁরই বান্ধবী চিত্রলেখা৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঊষার স্বপ্নে দেখা সেই পুরুষ আসলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধ, আর এই শ্রীকৃষ্ণ হলেন বাণরাজার শত্রু৷ ধীরে ধীরে চিত্রলেখার সহযোগিতায় ঊষা এবং অনিরুদ্ধর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ তাঁরা গান্ধর্ব মতে বিয়ে করেন৷
এই খবর বাণ রাজার কানে পৌঁছলে, তিনি অনিরুদ্ধকে বন্দি করেন৷ অনিরুদ্ধকে উদ্ধার করতে শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন৷ বাণ রাজা তখন শিবের শরণাপন্ন হন৷ আর এভাবেই শ্রীকৃষ্ণের পক্ষের সেনা এবং মহাদেবের পক্ষের হয়ে বাণরাজা যুদ্ধে লিপ্ত হন৷ এই যুদ্ধ হরি-হর যুদ্ধ নামেও পরিচিত৷ এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ত্রিভুবন কেঁপে ওঠে৷ সৃষ্টির বিনাশ অবশ্যম্ভাবী দেখে সকল দেবতা-মুনি-ঋষি উপাসনার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ এবং মহাদেবকে তুষ্ট এবং শান্ত করলে, যুদ্ধ থামে৷ এবং বাণ রাজা অনিরুদ্ধকে মুক্তি দেন৷
Posted ৫:৩১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta