কক্সবাংলা ডটকম(১২ ফেব্রুয়ারি) :: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কভিড ভ্যাকসিন নিখুঁত নয়, তবে এ মহামারীতে এটি বড় ধরনের প্রভাব রাখতে সক্ষম। অন্তত এটি জীবন রক্ষাকারী একটি প্রতিষেধক। ট্রায়ালের পদ্ধতি ও তাড়াহুড়ো করে অনুমোদন এবং করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ কথা বলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাসকল সোরিয়ট। খবর রয়টার্স।
আগামী এপ্রিলেই ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পাশাপাশি আফ্রিকান ইউনিয়ন থেকে বড় আকারের ক্রয়াদেশ পাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এ কভিড ভ্যাকসিনটি দামে সস্তা এবং পরিবহন-বিতরণ সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে এটিকে ‘ভ্যাকসিন ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ বলে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়।
কিন্তু ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন অনেকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। এ ভ্যাকসিনের দুই ডোজের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর এবং দুই ডোজের মধ্যবর্তী বিরতির সঠিক হিসাব নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তেও দেখা যাচ্ছে, এ ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্থগিত করেছে। তাছাড়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরবরাহে বিলম্বের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার নরম গরম সম্পর্ক চলছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির সিইও প্যাসকল সোরিয়ট এ ভ্যাকসিন সম্পর্কিত একটি কনফারেন্স কলে বলেন, এটা কি নিখুঁত? না, এটা নিখুঁত নয় কিন্তু এ ভ্যাকসিন দারুণ (কার্যকর)! কারা আছে যে ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করেছে? আমরা হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করতে চাই এবং এজন্যই দৈনিক কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, এক বা দুই বছর পর আমরা যখন পেছন ফিরে তাকাব, তখন বুঝতে পারব আসলে আমরা কত বড় কাজ করেছি।
ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এপ্রিল থেকে তারা মাসে ২০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করবে।
একই কনফারেন্স কলে কোম্পানির হেড অব অপারেশনস পাম চেং বলেন, বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণ ও উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোম্পানি কাজ করছে।
চলতি বছর ৩০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এর একটি বড় অংশ উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কারখানায় উৎপাদিত ভ্যাকসিনের অধিকাংশ যাবে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে।
গত বুধবার কোম্পানিটি চুক্তিভিত্তিক উৎপাদক হিসেবে জার্মানির আইডিটি বায়োলজিকাকে তালিকাভুক্ত করেছে। তবে এ কোম্পানির উৎপাদিত ভ্যাকসিন আগামী বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা আরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়ালের বহুপ্রত্যাশিত তথ্য-উপাত্ত আগামী মার্চেই হাতে আসবে। তারা আশা করছে, এ ভ্যাকসিন গুরুতর অসুস্থতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দেবে।
Posted ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta