কক্সবাংলা ডটকম(৮ এপ্রিল) :: ভারত মহাকাশ ভীতি সৃষ্টিকারী প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে। এই প্রযুক্তি দিয়ে তারা শত্রু দেশের উপগ্রহগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারবে বলে দেশটির সামরিক গবেষণা প্রধান জানিয়েছেন।
ভারতের সামরিক আর অ্যান্ড ডি সংস্থা ডিআরডির প্রধান জি সথিশ রেড্ডি শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ডিইডব্লিউ (ডাইরেক্টেড-এনার্জি উইপন্স), লেসার, ইলেক্টোম্যাগনেটিক, পালস (ইএমপি)-এর মতো অনেক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। আমি বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে এটুকু বলছি যে আমরা এগিয়ে চলেছি।
এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকা ডাইরেক্টেড-এনার্জি উইপন্স (ডিইডব্লিউ) অপ্রাণঘাতী বা প্রাণঘাতী রশ্মি সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। ডিইডব্লিউর মধ্যে রয়েছে লেসার, মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র, সনিক অস্ত্র, পার্টিক্যাল-বিম অস্ত্র।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কক্ষপথের উপগ্রহবিধ্বংসী অস্ত্র হলো বিস্ফোরক বা লেসার-সংবলিত উপগ্রহ। এগুলো বৈরী মহাকাশ সম্পদরাজিকে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
রেড্ডির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সরকার উপগ্রহবিধ্বংসী ব্যবস্থাকে ‘অস্ত্রকরণ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নতুন উপগ্রহবিধ্বংসী সরঞ্জামের আর কোনো পরীক্ষা না চালানোর সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
তিনি বলেন, সামরিক প্রাধান্য বিস্তারের ক্ষেত্রে মহাকাশ গুরুত্ব পাচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো ভয় দেখানোর সামর্থ্য অর্জন।
গত মাসে ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে উপগ্রহবিধ্বংসী অস্ত্র সামর্থ্য প্রদর্শন করে। এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই সামর্থ্য অর্জন করে। গত ২৭ মার্চ ভারত উপগ্রহবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। তারা ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি ভারতীয় উপগ্রহে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
এই খবরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করে। নাসা এই পরীক্ষাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করে দাবি করে যে উপগ্রহ ধ্বংসের ফলে ৪০০টি টুকরার সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তবে ভারত এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, মহাকাশ আবর্জনা স্টেশনের জন্য বিপজ্জনক নয়।
ভারতের পরীক্ষাকে পাকিস্তান গভীর উদ্বেগজনক হিসেবে অভিহিত করে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে
Posted ১২:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta