রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পৃথিবী সম্পর্কে অজানা তথ্য

শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৭
3116 ভিউ
পৃথিবী সম্পর্কে অজানা তথ্য

কক্সবাংলা ডটকম(৪ নভেম্বর) :: মহাকাশ থেকে দেখলে অনেকটা উজ্জ্বল নীল মার্বেল পাথরের মতো দেখতে আমাদের এই পৃথিবী সৌর পরিবারে সূর্যের তৃতীয় গ্রহ। জীবন ধারণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতি এই নীল গ্রহকে করেছে সত্যিকারের বিস্ময়ের বস্তু। কারণ পৃথিবীই এখন পর্যন্ত পাওয়া একমাত্র গ্রহ যেখানে জীব ও জীবনের অস্তিত্ব আছে। হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যাবে অথবা পৃথিবী থেকে হঠাৎ প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটবে- এরকম হতেই পারে। লেখার বিষয় অবশ্য সেটা নয়।

আমরা আমাদের জীবন এই পৃথিবীর উপরই কাটিয়ে দিচ্ছি অনায়াসে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি মাটির উপর, কিন্তু তার নিচে কিংবা তার উপরে আর কী আছে না আছে সেটা কজনই বা জানে। আমরা পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে এই পৃথিবী সম্পর্কে কতটুকু জানি, কী জানি আর কী জানি না সেটাই চলুন জানা যাক, জানা যাক বিস্ময়ে ভরা পৃথিবীর কিছু বিস্ময়।

টেক্টোনিক প্লেট

পৃথিবী সৌরজগতের একমাত্র সদস্য যা টেক্টোনিক প্লেট ধারণ করে। আমরা জানি পৃথিবীর অভ্যন্তরে গলিত ধাতু ও অন্যান্য উপাদান মিলে ম্যাগমা তৈরী করে। সাধারণত পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণ কয়েকটি অংশে বিভক্ত থাকে। এদেরই টেক্টোনিক প্লেট বলে। টেক্টোনিক প্লেটগুলো মূলত গলিত তরল ম্যাগমার উপর ভেসে থাকে। এই প্লেটগুলো একে অন্যের বিপরীতে চলাচল করতে সক্ষম। যখন পাশাপাশি দুইটি প্লেটের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে তখন একটি প্লেট আরেকটি প্লেটের নিচে চলে যায় এবং যে অংশে দুইটি প্লেট পৃথক হয় সেখানে নতুন করে কঠিন বহিরাবণ গঠিত হয়।

টেক্টোনিক প্লেট; সূত্র: sciencelearn.org.nz

প্লেট টেক্টোনিক ব্যাপারটি তো জানা হলো। কিন্তু এর গুরুত্ব কোথায় সেটাও আমাদের জানা দরকার। একদিকে টেক্টোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে যেমন ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পর্বত গঠিত হয় কিংবা মহাসাগরীয় খিলান সৃষ্টি হতে পারে, তেমনি পরিবেশ ও জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্বন চক্রের সুষ্ঠু প্রবাহেও এর ভূমিকা আছে।

যখন মহাসগরীয় আণুবীক্ষণিক জীব সম্প্রদায়ের মৃত্যু হয় তখন এরা সমুদ্রের নিচে জমা হতে থাকে। সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এসব মৃত অণুজীবের দেহের অবশিষ্টাংশ, যা কার্বনে পরিপূর্ণ, টেক্টোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ফলে সহজেই বায়ুমন্ডল থেকে কার্বনের মাত্রার কমে যায় এবং কার্বন চক্রের সঠিক প্রবাহ বজায় থাকে। যদি এমন না হতো তাহলে গ্রীন হাউজ ইফেক্টের কারণে অনেক আগেই অত্যাধিক উষ্ণতার উদ্ভব হতো যা প্রাণের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হতো।

পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়

অনেকেই মনে করেন, আমাদের পৃথিবীর আকার গোলকের মতো। এমনকি সেই ষষ্ঠ শতক থেকে আধুনিক যুগের প্রায় প্রতিটি মানুষের এই ধারণা এখনো আছে। কিন্তু আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ অভিযানসমূহকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়, কারণ বর্তমান গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, বরং বলা যায় চ্যাপ্টা গোলক। কারণ মহাকাশ থেকে একে দেখলে মনে হবে কেউ হয়তো এর দুই পাশে চাপ দিয়ে রেখেছে। দুই মেরু অঞ্চলে পৃথিবী কিছুটা চাপা এবং বিষুব অঞ্চলে স্ফীত।

পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার না; সূত্র: cdn4.list25.com

আধুনিক বিজ্ঞানীদের ধারণামতে বিষুবরেখা অঞ্চলে স্ফীত হওয়ার কারণ মূলত সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি অর্থাৎ অপকেন্দ্রিক গতি এবং তাদের হিসাব মতে মেরু থেকে মেরু পর্যন্ত পৃথিবীর ব্যাস বিষুব অঞ্চলের ব্যাস অপেক্ষা প্রায় ৪৩ কিলোমিটার কম। এমনকি যদিও এভারেস্টকে সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বত হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু পৃথিবীর কেন্দ্র হতে সর্বোচ্চ দূরত্বের পর্বতচূড়া হচ্ছে ইকুয়েডরের চিম্বোরাজো পর্বত।

বিষুব অঞ্চলে যদি কেউ অবস্থান করেন তাহলে তিনি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১,০০০ মাইল বেগে ঘুরবেন। অন্যদিকে মেরু অঞ্চলে দাঁড়ালে তিনি নিজে জায়গায় দাঁড়িয়েই ঘুরবেন। তবে পৃথিবীর সাথেই আমরা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬৭,০০০ মাইল বেগে মহাশূন্যে ছুটে চলেছি।

মোটামুটিভাবে এটি লোহা, অক্সিজেন ও সিলিকনের সন্নিবেশ

পৃথিবীকে যদি মোটামুটি বিভিন্ন বস্তুতে বিশ্লিষ্ট করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে এর প্রায় ৩২.১% লোহা, ৩০.১% অক্সিজেন, ১৫.১% সিলিকন এবং ১৩.৯% ম্যাগনেসিয়াম। অবশ্য এর প্রায় সবটুকু লোহাই পৃথিবীর মজ্জা বা কোরে অবস্থিত। যদি এর কেন্দ্রে পৌছানো সম্ভব হয় এবং এর কোরকে বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে এর প্রায় ৮৮%-ই পাওয়া যাবে লোহা। অন্যদিকে শুধুমাত্র এর বহিরাবরণকে যদি বিশ্লেষণ করা যায়, সেক্ষেত্রে ৪৭%-ই পাওয়া যাবে অক্সিজেন।

আয়রন কোর; সূত্র: hdwallpapeer.com

এর ৭০ শতাংশ পৃষ্ঠই পানির নিচে

প্রথম যখন নভোচারীরা মহাকাশে পাড়ি জমালেন এবং প্রথমবারের মতো মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকালেন, তারা দেখলেন এই নীল গ্রহকে কেন নীল লাগে। তারা আবিষ্কার করলেন, পৃথিবীর প্রায় ৭০%-ই পানিতে নিমজ্জিত এবং বাকি ৩০% এর কঠিন ভূপৃষ্ঠ। তাদের এই পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করেই এই পৃথিবী ‘নীল গ্রহ’ ডাকনামটি অর্জন করেছে।

বায়ুমন্ডলের বিস্তৃতি প্রায় দশ হাজার কিলোমিটার

পৃথিবীর বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে এর বায়ুমণ্ডল অন্যতম। যদিও পুরুত্বের দিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে দেখা যায় বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অধিক পুরু, কিন্তু বায়ুমণ্ডলের বিস্তৃতি পরিমাপ করে দেখা গেছে সেটি শূন্যে প্রায় দশ হাজার কিলোমটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর; সূত্রঃ mulierchile.com

মূলত পাঁচটি স্তরে বিভক্ত আমাদের বায়ুমণ্ডল অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার এবং এক্সোস্ফিয়ার এবং নিয়মানুযায়ী পৃথিবী থেকে যত উপরে ওঠা যাবে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব এবং বায়ুচাপ তত কমতে থাকবে। সবথেকে শেষ স্তর এক্সোস্ফিয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার থেকে ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের পর বায়ুমণ্ডলের আর কোনো অস্তিত্ব নেই।

পৃথিবীর গলিত আয়রন কোর চৌম্বকক্ষেত্র তৈরী করে

আগেই আমরা জেনেছি, পৃথিবীর অভ্যন্তরে কোর বা মজ্জার সিংহভাগই লোহা। ফলে এই গলিত লৌহকোরের কারণে পৃথিবী একটি বিশাল চুম্বকের ন্যায় আচরণ করে। মজার ব্যাপার হলো এই বিশাল চুম্বকের দুই চুম্বক মেরু মূলত পৃথিবীর দুই ভৌগোলিক মেরু বরাবরই অবস্থান করে। সেজন্যই দণ্ড চুম্বককে মুক্তভাবে ঝুলিয়ে দিলে সেটি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর স্থির হয়।

ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার; সূত্র: easyscienceforkids.com

পৃথিবীর অভ্যন্তরে গলিত লোহার দ্বারা সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্র এতটাই শক্তিশালী যে, এটি ভূপৃষ্ঠের বাইরে হাজার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, যা ‘ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার’ নামে পরিচিত। গবেষকদের ধারণামতে, গলিত অবস্থায় যখন তরল লৌহ পরিচলনগতি প্রাপ্ত হয়, তখন এরা তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে।

ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার অঞ্চলের গুরুত্বও কম নয় পৃথিবীর জন্য। কারণ এই চৌম্বকক্ষেত্রের কারণেই সূর্যের সৌর বাতাসে ভেসে আসা বিভিন্ন কণিকা পৃথিবীকে সরাসরি আঘাত করতে পারে না। কারণ ম্যাগ্নেটোস্ফিয়ার একদিকে যেমন এই কণিকাগুলোকে পৃথিবীকে আঘাত করা থেকে বিরত করে সেই সাথে এদের চলাচলের জন্য চ্যানেল বা পথও তৈরী করে দেয়। ফলে এরা পৃথিবীকে আঘাত না করে সেই পথে চলে যায়।

এটি অক্ষ বরাবর একবার ঘুরতে চব্বিশ ঘন্টা সময় নেয় না

বিজ্ঞান যারা পড়েছেন তারা এই ব্যাপারে মোটামুটি সবাই জানেন যে নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরতে পৃথিবীর পুরো ২৪ ঘন্টা সময় লাগে না। এই সময় ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড যা জ্যোতির্বিদদের কাছে এক নাক্ষত্রিক দিন হিসেবে গণ্য হয়। অর্থাৎ আমাদের পরিচিত ২৪ ঘন্টার দিন আসলে নাক্ষত্রিক দিন থেকে প্রায় ৪ মিনিট বেশি। তাহলে দিনের হিসেবে এই ফাঁকিটা আসলো কোথা থেকে? প্রশ্ন জাগতেই পারে।

সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণ; সূত্র: heidiechternacht.files.wordpress.com

পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে অনবরত। এদিকে সূর্যও তার জায়গায় থেমে নেই। দেখা গেছে সূর্য এর পশ্চাতের তারকাসমূহ থেকে প্রায় এক ডিগ্রি করে জায়গা পরিবর্তন করে যা মোটামুটি চাঁদের আকারের সমান। ফলে যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে সাথে আমরা সূর্যের এই সরে যাওয়াটা জুড়ে দেই তাহলেই আমরা প্রায় ২৪ ঘন্টা পেয়ে যাই এবং একেই বলে সৌর দিন।

চাঁদ ছাড়াও এর দুইটি সহ-কক্ষীয় গ্রহাণু আছে

আমরা সকলেই খুব ভালোভাবে জানি, চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। প্রায় সকলেই এই ধারণার সাথে একমত হবে সন্দেহ নেই। কাজেই আমরা চাঁদের দিকে আর না যাই। তবে মজার ব্যাপার হলো, বিজ্ঞানীরা মনে করেন চাঁদ ছাড়াও পৃথিবীর দুইটি অতিরিক্ত গ্রহাণু আছে যারা পৃথিবীর অক্ষের সাথে সহ-কক্ষীয়। এদের পরিচিতি ‘৩৭৫৩ ক্র্যুইথন’ এবং ‘২০০২ এএ২৯’। এরা মূলত ‘Near-Earth Objects’ নামক এক বৃহৎ গ্রহাণুগোষ্ঠীর সদস্য।

৩৭৫৩ ক্র্যুইথন; সূত্র: cs8.pikabu.ru

৩৭৫৩ ক্র্যুইথন গ্রহাণুটি প্রায় ৫ কিলোমিটারের মতো এবং একে পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদ বলেও মনে করা হয়। যদিও এটা আমাদের পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে না, কিন্তু আমাদের আবাসভূমি পৃথিবীর সাথে এর সমপতিত কক্ষপথ আছে। ফলে মনে হতে পারে এটি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে।

কতিপয় বিজ্ঞানীর বিশ্বাস, পৃথিবীর চাঁদই দুইটি, যারা একই অবস্থানে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। ফলে একের কারণে অন্যকে দেখা যাচ্ছে না।

অসম অভিকর্ষ

মহামতি নিউটনের কারণে আজ আমরা জানি যে প্রতিটি গ্রহেরই তার নিকটস্থ বস্তুকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে অর্থাৎ অভিকর্ষ বল। কিন্তু এই অভিকর্ষ বল গ্রহের কেন্দ্র হতে দূরত্বের উপর নির্ভর করে। যেহেতু পৃথিবী চ্যাপ্টা গোলক অর্থাৎ পুরোপুরি গোলক নয়, ফলে এর অভিকর্ষ বলের মান বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়।

সাধারণত মেরু অঞ্চলের অভিকর্ষ বলের মান সবথেকে বেশি, কারণ এই অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সব থেকে কম। অপরদিকে তুলনামূলকভাবে বিষুব অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবথেকে বেশি, ফলে অভিকর্ষ বলের মান কম।

হাডসন উপকূলীয় অঞ্চল; সূত্র: cdn3.list25.com

তবে রহস্যজনকভাবে কানাডার হাডসন উপকূল অঞ্চলে অভিকর্ষ বলের মান গড়পড়তা কম। এর প্রধান কারণ এ অঞ্চলে মাটির পরিমাণ কম, ফলে ভরও কম। মূলত হিমনদীর প্রবাহই এই অঞ্চলে প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং ভূ-অভ্যন্তরের তরল ম্যাগমার কারণেই অভিকর্ষের মান এত কম।

দীর্ঘ পর্বত শৃঙ্খলের অবস্থিতি সমুদ্রের নিচে

এভারেস্টকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মর্যাদা দেয়া হয়। কিন্তু আদতে যদি ভূ-উপরিভাগের কথা বাদ দেয়া হয় এবং উচ্চতার কথা না বলে বিস্তৃতির কথা বলা হয় তাহলে অধিক বিস্তৃত পর্বতের অবস্থান পাওয়া যায় সাগরের নিচে। একে বলে ‘মধ্য মহাসাগরীয় সিস্টেম’। প্রায় ৮০,০০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এর বিস্তৃতি। এ ছাড়াও এই সিস্টেমটি পুরোপুরি একটি আগ্নেয়গিরি।

মধ্য মহাসাগরীয় সিস্টেম; সূত্র: cdn2.list25.com

সাধারণত যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তখন ভূ-অভ্যন্তরের তরল ম্যাগমা উদ্গীরন হয়। কিন্তু এই ম্য্যাগমা কিন্তু আজীবন ভূমির উপর কঠিন আকারে থেকে যায় না। এই পাথরগুলো খুব ধীরে ধীরে আবার ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অথবা টেক্টোনিক প্লেটের সাথে মিশে যায়।

ম্যাগমা এবং অগ্ন্যুৎপাতের কথা যখন আসলো, তখন আরেকটি তথ্য দেয়া যাক। পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো লিবিয়ার আল আজিজিয়া অঞ্চলে প্রায় ১৩৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড আছে এন্টার্কটিকা অঞ্চলে প্রায় ১২৮.৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট।

চেনাজানা পৃথিবী সম্পর্কে আমাদের জানা জ্ঞান থেকে অজানা অংশই বেশি। কিছুটা বিস্ময়কর, কিছুটা রহস্যময় এই গ্রহে যেমন প্রাণের প্রকাশের উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান তেমনি নানা বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যও একে আরো রহস্যময় করে তোলে।

3116 ভিউ

Posted ৫:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com