বেলাল আজাদ,(১৯ জানুয়ারি) :: উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী নূরা (১২) অপহরণের দীর্ঘ ২মাসেও উদ্ধার হয়নি, রহস্যজনক কারণে কোন মামলা রুজু বা কোন অপহরণকারীও গ্রেফতার হয়নি।অপহৃত শিশু ছাত্রীর মা-বাবা ও মাদ্রাসা কতৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী দীর্ঘদিনেও কোন মামলা রুজু ও কোন আসামী গ্রেফতার এবং অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারপাড়া গ্রামের মোনাফ মার্কেটস্থ আব্দুল খালেকের কন্যা ও সোনারপাড়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী নূরা (১২) কে একই একই এলাকার বাছির, সামির, আব্দুল আজীজ, আবুল আলা, নাছরিন ও হালিমা সহ আরও ২/৩জন অজ্ঞাতনামা অপহরণকারী গত বছরের ৪নভেম্বর দিন দুপুরে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসা ছুটির পরে মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী চলাচলের রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এঘটনায় অপহৃতার মা-বাবা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য লোকজনকে অবগত করে প্রথমে থানায় ও পরে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালে মামলা এবং বিভিন্ন ভাবে অপহৃতার খোঁজ ও উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে থানায় মামলা রুজুতে অনীহা ও ডিসেম্বরে দীর্ঘ এক মাস নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনাল অবকাশকালীন বন্ধ থাকা এবং ট্রাইব্যূনালে বদলী জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বিচারক না থাকায়, শিশু ছাত্রী অপহরণের মত লোমহর্ষক ঘটনার দীর্ঘ ২ মাস গত হয়ে গেলেও এঘটনায় কোন মামলা রুজু বা কোন অপহরণকারী গ্রেফতার অথবা অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার হয়নি।
অপহৃতার মা শিরিনা বেগম (৪৩) কাঁন্না জড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান, আমার নাবালিকা মেয়েকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও নারী লোভীরা অপহরণের দীর্ঘ দিনেও আমার মেয়ের কোন খোঁজ পাইনি।
নিজের দৈন্যদশায় কোন মামলা রুজু বা অপহরণকারীও গ্রেফতার করাতে পারিনি।
সোনারপাড়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম ছৈয়দ আলম সহ অনেক জনপ্রতিনিধি, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও গণ্যমান্য লোকজন অপহৃত মেধাবী ছাত্রী নূরা কে উদ্ধারে ব্যর্থতায় ও কোন মামলা রুজু বা অপহরণকারী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অপহৃতা শিশু ছাত্রীকে উদ্ধারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, এ ধরণের কোন ঘটনা তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
অপহৃতার মায়ের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী এডভোকেট জাবেদুল আনোয়ার রুবেল জানান, মাদ্রাসা পড়ুয়া মেধাবী ও শিশু ছাত্রী নূরা (১২) অপহরণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি ফৌজদারী দরখাস্ত বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালে জমা দেওয়া হলেও নিয়মিত বিচারক শূন্যতায় শূনানী হয়নি, তবে দুইএক দিনের মধ্যে শুনানী হলে ট্রাইব্যূনালের বিজ্ঞ বিচারক অপহৃতাকে উদ্ধার সহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ আদেশ দিতে পারেন।
Posted ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta